বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: জোটে জট। শুরুতেই ধাক্কা বাম-কংগ্রেস জোট ঐক্যে। জোটের ভারসাম্য বজায় রাখতে কংগ্রেসের প্রস্তাব প্রথম বৈঠকেই ফুৎকারে উড়িয়ে দিল বামেরা। মুখে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও বামেদের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ প্রদেশ নেতৃত্ব। তবে যৌথ আন্দোলনে সহমত দু’পক্ষই। ২৯ জুন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে দুই শিবির একসঙ্গে রাজপথে নামবে বলে বৈঠকে স্থির হয়। রেড রোডে সেই কর্মসূচি হবে। এছাড়াও ৭ জুলাই আমফান নিয়ে একটি বিক্ষোক্ষ কর্মসূচি নেওয়া হয় বৈঠকে।
প্রায় একবছর বাকি রাজ্যের বিধানসভা ভোট। ১৬ সালের ভোটে জোট করেও মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। জোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বঙ্গবাসীর মধ্যে হাজারও প্রশ্ন ছিল। তড়িঘড়ি জোটের পথে হাঁটার ফলে তা মুখ থুবড়ে পরেছিল বলে ধারণা বাম ও কংগ্রেস নেতাদের। তাই জোটবার্তা মানুষের কাছে অনেক আগে থেকে পৌঁছে দিতে আগেভাগে ময়দানে নেমে পরল দুই শিবির। বুধবার ক্রান্তি প্রেসে জোটের প্রথম বৈঠক হয়। ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই দুই শিবিরের মধ্যে সমন্বয় রাখতে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রস্তাব শুনেই পত্রপাঠ খারিজ করে বাম শিবির।
[আরও পড়ুন: ‘ড্রাগন’কে উপযুক্ত জবাব, কলকাতা বিমানবন্দরে চিনা পণ্য খালাসে নিষেধাজ্ঞা]
তাঁরা প্রদেশ নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দেয়, এখনই এই ধরনের কমিটির কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে গড়তে হবে। তাহলেই তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তাঁদের যুক্তি, গত ভোটে নিচুতলায় ঐক্য গড়ে না ওঠায় নির্বাচনের ফলাফলে তার প্রভাব পড়ে। তাই প্রথম থেকেই নির্বাচনী জোট না গড়ে যৌথ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা গড়ে উঠলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।