রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: সাতসকালে চা-বাগান থেকে ফের এক বালককে তুলে নিয়ে গিয়ে খুবলে খেল চিতাবাঘ। আতঙ্ক ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের রামঝোড়া চা-বাগানে। দিন কয়েক আগে রামঝোড়া চা-বাগানের পাশে ধুমচিপাড়া চা-বাগানে চিতাবাঘের হামলার প্রাণ গিয়েছিল ৫ বছরের এক শিশুর। উদ্বেগ বাড়ছে বনদপ্তরের। মৃত বালকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
[শিলিগুড়িতে একই রুটে পেট্রল পাম্পে সিরিয়াল ডাকাতির কিনারা, জালে তিন দুষ্কৃতী]
শীতকাল চিতাবাঘের প্রজননের মরশুম। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রসবের পর নিজের সন্তানকে খেয়ে ফেলে পুরুষ চিতাবাঘ। তাই শাবকদের নিয়ে জঙ্গল থেকে দূরে চা-বাগানে আশ্রয় নেয় মা চিতাবাঘ। স্বাভাবিক কারণে ডুর্য়াসের বিভিন্ন চা-বাগানে বন্যজন্তুর উপদ্রবও বাড়ে। কিন্তু মানবশিশুকে চিতাবাঘের খুবলে খাওয়ার ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। অন্তত তেমনই দাবি বনদপ্তরের। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের রামঝোড়া চা-বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়েছে। রবিবার সকালে আচমকাই শচীন ওঁরাও নামে বছর বারোর এক বালককে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। ঘটনাটি নজর আসতেই বন্যজন্তুটিকে তাড়া করেন চা-বাগানের শ্রমিকরা। তখন শচীনকে ফেলে রেখে পালায় সে। হাসপাতালে নিয়ে গেল তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই বালকের ঘাড় মটকে দিয়েছিল চিতাবাঘটি। শরীরের একাধিক জায়গায় কামড়ের ক্ষতও ছিল। ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রামঝোড়া চা-বাগানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনদপ্তরের আধিকারিকরা। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে বন দপ্তর।
প্রসঙ্গত, ডুয়ার্সের চিতাবাঘের হানায় একে পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। দিন কয়েক আগে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের ধুমচিপাড়ায় চা-বাগানে ৫ বছরের এক শিশুকে খুবলে খেয়েছিল চিতাবাঘ। কিন্তু, হঠাৎ কেন এত হিংস্র হয়ে উঠেছে বন্যপ্রাণীটি? ধন্দে খোদ বনকর্তারাই।
[ কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার, ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন ব্যক্তির দেহ]