সঞ্জীব মণ্ডল: সাকুল্যে বার দু’য়েক দেখা মিলেছিল। শিলিগুড়ির কাছে আড়াই মাইল এলাকায় চিতার হানার খবরে রীতিমতো তোলপাড়। টানা আটচল্লিশ ঘণ্টা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থেকেও চিতার দেখা পাননি বনকর্তারা। ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পেতেও লাভ হয়নি। কিন্তু চিতার আতঙ্কের রেশ এখনও কাটেনি। এর জেরেই একের পর এক ফোনে নাজেহাল বনদপ্তর। ফোনে দাবি করা হচ্ছে এলাকায় চিতাটিকে দেখা গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ছুটলেও চিতার দেখা মিলছে না। আতঙ্ক থেকেই অনেকে এমনটা করছেন বলে দাবি বনকর্তাদের।
[নেই ডিগ্রি, তবুও আশুতোষ কলেজে ১৪ বছর অধ্যাপনা করছেন মহিলা]
গত বুধবার আড়াই মাইলের কাছে হিমঘর এলাকায় দেখে মেলে চিতাবাঘের। তারপর বাঘটিকে ধরতে খাঁচা পাতে বনদপ্তর। কিন্তু বাঘের হদিশ মেলেনি। অগত্যা শনিবারই এলাকা থেকে খাঁচা তুলে নিয়ে যান বনর্কমীরা। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন সাউ, সুজিত শর্মাদের বক্তব্য, ‘চিতাবাঘটি ধরা পড়লে নিশ্চিন্ত হতাম।’ যেকোনও সময় ফের হামলা হতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছে। আর এই আতঙ্ক থেকেই মুখে মুখে ছড়াচ্ছে গুজব। ফোন যাচ্ছে বনদপ্তরে। ছুটে যাচ্ছেন বনকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতের দিকে এলাকার কুকুরদের ঘেউ ঘেউ শুনেও অনেকে চিতার হানার আশঙ্কা করছেন। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউই।
বনকর্তাদের মতে আড়াই মাইল এলাকার দু’পাশে বৈকুন্ঠপুর ও মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির জঙ্গল আছে। এই দু’টি জঙ্গলের কোনও একটি এলাকা থেকেই এসেছিল চিতাটি। লোকালয়ে থেকে গেলে ফের দেখা মিলতই। তা যখন মেলেনি, তখন চিতাটি ফের জঙ্গলেই ফিরে গিয়েছে বলে নিশ্চিত বনকর্তারা। শালুগাড়ার রেঞ্জার প্রদীপ কর চৌধুরি জানিয়েছেন, “আতঙ্কের থেকে অনেকে ভুয়ো ফোন করছেন। ফলে বনকর্মীদেরও ছুটতে হচ্ছে। আশা করি কয়েকদিন কাটলে এই সমস্যা মিটবে।”
[রাতের শহরে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে অ্যাসিড হামলা, জখম ছয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.