প্রতীকী ছবি।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: খুনের বদলা নিতে অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুন! এমন অভিযোগেই তোলপাড় বীরভূমের খয়রাশোল এলাকা। শনিবার রাতে স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছ পুলিশ। তবে বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে সাফ জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে প্রকাশ্যে এভাবে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় এলাকায় আ্রতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মৃত যুবকের নাম মিঠুন বাগদি। তিনি খয়রাশোল ব্লকের বিজেপির এ মণ্ডলির বুথ সহ-সভাপতি ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন মিঠুন। শনিবার রাতে পিটিয়ে খুনের ঘটনাটি ঘটে খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত নবসন গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশকিছু দিন আগে গ্রামেরই ১০০ মিটার দূরে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ২৭ বছরের রাজু বাগদি নামে একজনের। এই ঘটনায় মিঠুন বাগদির নামে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তারপর গত তিনমাস ধরে জেল হেফাজতে ছিলেন মিঠুন। জামিন নিয়ে শনিবারই বাড়ি ফেরেন তিনি। অভিযোগ, এদিনই মৃত রাজু বাগদির পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁকড়তলা থানার পুলিশ মিঠুন বাগদিকে উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে ৩ মাস জেল খেটেছেন মিঠুন। ফেরার পর ওই পরিবারের সদস্য যেভাবে তাঁকে পিটিয়ে মারল না অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ওদের পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। আইন আইনের পথে চলবে।” এ প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, “খুনের ঘটনায় কাঁকড়তলা থানার পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে কেন এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.