নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বুথের ভোটার ৮৮৪ জন। ভোটও দিয়েছেন ৮৮৪ জন। বীরভূম কেন্দ্রের রামপুরহাট শহরের ১১৫ নম্বর বুথের এমনই একটি নথি ভাইরাল হয়েছে ভোটের পরেরদিনে। যার পরিপ্রেক্ষিতে, এটিই বুথে ছাপ্পা ভোটের প্রকৃত ছবি বলে দাবি করে প্রতিবাদ করেছে বিজেপি ও সিপিএম। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্ভবত ভুল করে সেটি লেখা হয়েছে। তবে সকাল থেকে ভাইরাল হওয়া ১৭ সি ফর্মের ছবি সমেত জেলা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মৌমিতা গোদারার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি তার কোনও উত্তর দেননি।
[আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের, মালিকের ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা কর্মচারীর]
বীরভূম লোকসভা আসনে রামপুরহাট মহকুমায় ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। তার সঙ্গে সকাল থেকেই হাতে গরম ভোট কেন্দ্রের ১৭ সি ফর্ম। ফর্মটি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে রামপুরহাট শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১১৫ নম্বর বুথে এই ঘটনা ঘটেছে। বাজার পাড়ার রামপুরহাট হাজি মৌলাবক্স প্রাথমিক স্কুলে এমন কাণ্ড ঘটেছে। যেখানে মোট ভোটার ৮৮৪ জন। আর ভোটও দিয়েছেন সকলে। অর্থাৎ একশো শতাংশ ভোট পড়েছে ওই বুথে। এমন ঘটনা বীরভূমের ভোটের ইতিহাসে ঘটেনি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, সরকারি এই নথি স্পষ্ট প্রমাণ দিচ্ছে কেমন ছাপ্পা হয়েছে। সিপিএম জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, সরকারের তদন্ত করে দেখা উচিত, কেন এমন হল।
তবে বিজেপির জেলা নেতা তথা কাউন্সিলর শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “ওই বুথে সকালে বিজেপির কোনও এজেন্ট বসতে দেয়নি তৃণমূল। পরে আমরা গিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেখানে এজেন্ট বসাই।” তিনি দাবি করেন এমন ঘটনা ঘটেনি। সম্ভবত লিখতে ভুল হয়েছে। তবে ভোট পড়েছে প্রচুর। বিজেপির এজেন্ট যখন ছিল না তখন ছাপ্পা মেরেছে কিনা তা প্রশাসনের দেখা উচিত বলে মত তাঁর। তৃণমূলের জেলা সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “বুথটি আমার বাড়ির পাশে। আমি সন্ধেয় ভোট শেষের আগের মুহূর্তে খবর নিয়ে জেনেছিলাম ৮২ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে। তবুও যদি কেউ লিখতে ভুল করে তা সংশোধন করে প্রকাশ্যে জানান উচিত। নচেত ভুল বার্তা যাবে।”
[আরও পড়ুন: মমতা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? তর্কে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া]
ছবি: শান্তনু দাস