সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘বাংলায় রাম-সীতার প্রাইভেট কোম্পানি’ খুলেছে বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। রবিবার পুরুলিয়ার বলরামপুরের সরাই ময়দানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পালটা জনসভায় একথা বলেন তিনি। ছ’দিনের মাথায় তৃণমূলের পালটা সভায় ভিড় উপচে পড়েছিল সরাই ময়দানে। তবে জেলার রাজনৈতিক মহল এই সভাকে পালটা বললেও তৃণমূল বলছে প্রতিবাদ সভা।
কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধেই বলরামপুর ব্লক তৃণমূলের ডাকে এই প্রতিবাদ সভায় মদন মিত্র বলেন, “বাংলায় রাম-সীতার প্রাইভেট কোম্পানি খুলেছে বিজেপি। যেন মনে হচ্ছে রাম তাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি। রাম আসলে ভগবান। সেই ভগবানের পুজো আমরা সবাই করি।” এরপরই মদন মিত্র জয় বজরঙ্গবলি, জয় বগলা মা, জয় খাটুনরেশ নাম নিয়ে মঞ্চেই হনুমানচল্লিশা পাঠ করেন। টিএমসি মানে কী? তার ব্যাখা দিয়ে বলেন, “টি মানে টেম্পল, এম মানে মস্ক, সি মানে চার্চ।” এই কথা বলে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জঙ্গলমহল বলরামপুরের বাসিন্দাদের মনে করিয়ে দেন, তাঁরা বিজেপির মতো ধর্মের নামে রাজনীতি করেন না। তৃণমূল সকলকে নিয়ে চলে। এদিনের সভায় ছিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা টলিউডের নায়ক সোহম চট্টোপাধ্যায়। এঁরা সকলেই এদিন বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
[খেলনা ভেবে মেয়ের হাতে আসল বন্দুক তুলে দিয়ে গুলিবিদ্ধ মা]
তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি তথা দলের এই জেলার পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়াকে বিরোধী শূন্য করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গ টেনে মদন মিত্র এদিন বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে বিরোধী শূন্যের কথা বলেছেন। অথচ বিজেপি নেতারা এই কথার প্রেক্ষিতে নানা অপপ্রচার করছেন।” সভায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, “বলরামপুর তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি। এখানে আমরা বুকের রক্ত দিয়ে মায়ের সম্মান রক্ষা করব।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যদি বলরামপুরের দায়িত্ব দেন, তাহলে সপ্তাহে একদিন করে এসে এখানে কাজ করবেন বলে জানান মদনবাবু। এদিন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “বিজেপি এই জঙ্গলমহলকে নতুন করে অশান্ত করে তুলতে চাইছে। আবার সেই পুরানো দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তা কোনভাবেই হতে দেব না।” এদিনের সভায় সোহমকে ছুঁতে হিড়িক পড়ে যায় তরুণদের। তিনিও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “এটা গুজরাট নয়। এটা বাংলা। এখানে দাঙ্গা চলবে না। এখানে দাঙ্গাবাজদের কোন জায়গা নেই।” এদিনের সভায় ছিলেন দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাতো প্রমুখ।
ছবি: অমিত সিং দেও
[দূষণ রোধে শালপাতা শিল্পকে বাজারমুখী করতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.