৮ আশ্বিন  ১৪৩০  মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ইন্টার লকিং সিস্টেম বদল খড়গপুরে, দুর্ভোগের আশঙ্কা দক্ষিণ-পূর্ব রেলে

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: November 4, 2017 10:32 am|    Updated: November 4, 2017 10:32 am

Maintenance work in Kharagpur division to hit train services

স্টাফ রিপোর্টার: এমনিতেই লেটের গেরোয় ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ অনিয়মের জেরে নাভিশ্বাস ওঠে নিত্যযাত্রীদের। তার উপর ‘গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো’ হাজির হচ্ছে রেলের ইন্টার লকিং সিস্টেম বদলের পালা। ট্রেনকে সময়ে চালাতে এবার ইন্টার লকিং সিস্টেম বদলাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এতকাল রুট রিলে সিস্টেম ছিল এবার তা ইলেকট্রনিক্স ইন্টার লকিং সিস্টেম হচ্ছে। সিস্টেমের এই বদল আনতে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ চলবে। ফলে এই ১৬ দিন বহু ট্রেন বাতিল করা হবে। সংক্ষিপ্ত পথ যাত্রা করবে অনেক ট্রেন।

[বন্দি শিশুকে ‘মুক্তি’ দিতে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইছেন দম্পতি]

৪ নভেম্বর থেকে এই বিঘ্নের সূত্রপাত। তবে শেষ তিনদিন অর্থাৎ ১৭, ১৮ ও ১৯ চরম বিপত্তির মধ্যে পড়তে হবে নিত্যযাত্রীদের। ১৭ নভেম্বর বাতিল করা হচ্ছে ২৩টি মেল এক্সপ্রেস, তিনটি স্পেশাল, ১২টি প্যাসেঞ্জার, ২৪টি মেমু ও ২৭টি ইএমইউ। সংক্ষিপ্ত যাত্রা করবে ৯টি প্যাসেঞ্জার ও ২৩টি ইএমইউ। এদিন ১০টি মেল এক্সপ্রেস খড়গপুরকে এড়িয়ে হিজলি-নিমপুরা হয়ে যাবে। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর ২২টি মেল এক্সপ্রেস বাতিল করা হবে। চারটি স্পেশাল, ১২টি প্যাসেঞ্জার, ১৬টি মেমু ও ২৭টি ইএমইউ বাতিল হবে। যাত্রা সংক্ষিপ্ত করবে দু’টি মেল, ১০টি প্যালেঞ্জার ও ১৬টি ইএমইউ ট্রেন। ১১টি মেল এক্সপ্রেস নিমপুরা হয়ে ঘুরপথে যাবে। ১৯ নভেম্বর বাতিল করা হয়েছে ৪৩টি মেল এক্সপ্রেস, ১২টি প্যাসেঞ্জার, ১৩টি মেমু ও ৪০টি ইএমইউ।

[জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে]

যাত্রী দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছবে তা জেনেও রেল বোর্ড যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চিফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার কৌশিক মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খড়্গপুরের আরআরআই সিস্টেম বহু পুরনো। যা নিয়ন্ত্রণ করে ৮০০-র উপরে রুট। ভারতের সর্ববৃহৎ বলা চলে। ইলেকট্রনিক রুট চালু করার অর্থ, সংশ্লিষ্ট সিস্টেমের ক্ষেত্রে রুট সেট হবে বৈদ্যুতিনভাবে। ফলে ওই রুটের সঙ্গে অন্য কোনও রুট সংযুক্ত হতে পারবে না। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে না। পাশাপাশি আগে বড় বড় মেশিন, লিভার ইত্যাদির মাধ্যমে কাজ করা হত। ফলে কর্মীর সংখ্যা ও জায়গা বেশি লাগত। এখন তা কমে যাবে। ফলে এই ব্যবস্থা যথেষ্ট সমসাময়িক ও যাত্রী সুবিধার ক্ষেত্রে কার্যকরী। ফলে ট্রেনের গতি বাড়বে। সময় সাশ্রয় হবে। এ জন্য যাত্রীদের সাময়িক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সমস্ত বাতিল ট্রেনের টিকিটের মূল্য যথাসময়ে ফেরতও পাবেন বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে