বাবুল হক, মালদহ: একশো কোটির দেশের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন এখনও অধরা। তবে আবেগ বা সমর্থনে খামতি নেই। বিশ্বকাপের একমাস কেউ আর্জেন্টিনা, কেউবা আবার ব্রাজিলের সমর্থক হয়ে ওঠেন। আর সেই সমর্থন এতটাই যে, ফ্রান্সের কাছে আর্জেন্টিনা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, মেসির হারে আত্মহত্যা করলেন বছর কুড়ির এক যুবক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুরে। ঘরের দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[কাগজ কুড়োতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম যুবক]
মৃতের নাম মনোতোষ হালদার। বাড়ির মালদহের হবিবপুরের আইহো পঞ্চায়েতের ছাতিয়ানগাছি গ্রামে। আর্জেন্টিনার অন্ধভক্ত ছিলেন মনোতোষ। তাঁর প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। শনিবার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলা ছিল আর্জেন্টিনার। ৪-৩ গোলে হেরে যান মেসিরা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে নিজের ঘরে বসে একাই খেলা দেখছিলেন মনোতোষ। প্রিয় দলের হারের পর রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। টিভির সামনে বসে হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন তিনি। একসময়ে শুয়েও পড়েন মনোতোষ। তবে রাতে আর কিছু মুখে তোলেননি।
রবিবার সকালে বহু ডাকাডাকিতেও সাড়া পাওয়া যায়নি মনোতোষ হালদারের। শেষপর্যন্ত, ঘরের দরজা ভেঙে বছর কুড়ির ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় হতবাক পরিবারের লোকেরা। এলাকায় শোকের ছায়া। মনোতোষের বাবা মঙ্গল হালদার বলেন, ‘ছেলের কোনও অসুখ ছিল না। কয়েকদিন ধরে টিভি চালিয়ে শুধু খেলা দেখতে বসে যেত। ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে খুব মাতোয়ারা ছিল ছেলে। হঠাৎ এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলল।‘ তবে স্রেফ মেসি হেরে যাওয়াতেই যে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন, এমনটা মানতে নারাজ পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার দীপক সরকার বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। টিভির সামনেই কেন আত্মহত্যা করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[নদিয়ায় ট্যারান্টুলা আতঙ্কে কাঁটা সাধারণ মানুষ]
এর আগে কেরলেও এক মেসিভক্ত একই পথ বেছে নেন। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপর্যয়ের পর আত্মহত্যার পথে হেঁটেছিলেন সেই যুবক।