Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ীদের আস্তানা হিসেবে সেজে উঠবে মালদহের বড় সাগরদিঘি

প্রস্তাবে সিলমোহর রাজ্যের।

Malda to get its own Eco Tourism Park
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 17, 2018 5:02 pm
  • Updated:September 16, 2019 4:51 pm

বাবুল হক, মালদহ: ইতিহাসের জেলা মালদহের বড় সাগরদিঘি ঘিরে তৈরি হবে ইকো ট্যুরিজম পার্ক। বল্লাল সেনের আমলের এই সুবিশাল দিঘির চারপাশে পর্যটকদের বসার জায়গার পাশাপাশি তৈরি করা হবে অতিথি নিবাসও। দিঘির পাড়ে বিদ্যুদয়নের কাজ হবে। বড় সাগরদিঘি যাওয়ার রাস্তাটি নির্মাণের কাজও খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য।

ইংলিশবাজার শহর থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র এই বড় সাগরদিঘি। সেখানে একটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে কাজ শুরু হতে আর দেরি নেই। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বড় সাগরদিঘি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ইকো পার্ক তৈরির ক্ষেত্রে মৎস্য দপ্তর থেকেও ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে।

Advertisement

বিশ্বপর্যটন মানচিত্রে প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়, পাণ্ডুয়া ও জগজ্জীবনপুরের বৌদ্ধবিহারকে তুলে ধরতে সোশ্যাল সাইটে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। সেখানেও এশিয়ার বৃহত্তম এই সাগরদিঘির কথা তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

[অরণ্যের দরজা যেখানে খোলা, প্রকৃতির মাঝে হারানোর ঠিকানা দুয়ারসিনি]

দেশ-বিদেশের পর্যটকদের মালদহমুখী করতে সাগরদিঘি সাজানোর পাশাপাশি গঙ্গা ও ফুলহার নদীর ভূতনি-সহ একাধিক চর ঘিরেও পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে জেলার প্রশাসনিক মহলে। লঞ্চ বা নৌকায় চড়ে ফরাক্কা থেকে মানিকচক, ভূতনি চর, নারায়ণপুর চর, গদাই চর-সহ বিভিন্ন নদীচর ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটকরা। গদাইয়ের চরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শনও। এই চরটি ঝাড়খণ্ডের রাজমহল সংলগ্ন। সম্রাট আকবরের আমলে বাংলার রাজধানী ছিল এই রাজমহল। বহু প্রাচীন নিদর্শনও রয়েছে। এছাড়া চরগুলিতে প্রত্যেক বছর প্রচুর পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। পাখির ছবি তুলতে মানুষের ভিড়ও চোখে পড়ে ফি বছর। মানিকচকে গঙ্গায় শুশুক, ঘড়িয়ালেরও দেখা পাওয়া যায়।

ফলে গঙ্গার চরগুলি নিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট তৈরি করা যেতেই পারে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন। এনিয়ে একটি প্রাথমিক প্রস্তাব রাজ্যের পর্যটন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

[সামনেই রয়েছে বিরাট ছুটি, ঘুরে আসুন প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি শিমুলতলায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ