Advertisement
Advertisement

Breaking News

মালদহ জেলা পরিষদও এবার তৃণমূলের দখলে!

মালদহ জেলা পরিষদে দলের আট সদস্যের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর৷

Malda Zilla Parishad is going to come under TMC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 20, 2016 2:31 pm
  • Updated:September 13, 2019 7:01 pm

স্টার রিপোর্টার: মুর্শিদাবাদের পর এবার মালদহ৷ কংগ্রেস-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেন জেলা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যই৷ দ্রুত তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে খবর৷ অন্যদিকে সংগঠন সামলাতে না পেরে নিজেই বিতর্ক উস্কে দিলেন প্রদেশ সভাপতি৷ শনিবার রাজীব গান্ধীর জন্মদিনে একটি বিতর্কিত মন্তব্য নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি৷ সেখানে তিনি লেখেন, “যখন বড় বৃক্ষের পতন হয়, তখন মাটিও কেঁপে ওঠে৷”

এর পরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায় কংগ্রেসের পতনের ইঙ্গিত দিয়েই কি রাজীব গান্ধীর এই বিতর্কিত মন্তব্যকে ফের খুঁচিয়ে তুললেন অধীরবাবু৷ প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে বিতর্ক দাঁনা বাধতেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মন্তব্যটি সরিয়ে ফেলেন প্রদেশ সভাপতি৷ যদিও তাতে বিতর্ক থামেনি৷

Advertisement

প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর এই মন্তব্য করেছিলন রাজীব গান্ধী৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর নিজের সংগঠন ধরে রাখতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে অধীরবাবু৷ এমনকী, নিজের জেলা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদও কার্যত হাতছাড়া হওয়ার পথে৷ অন্যদিকে শনিবার সকালেই কানে আসে মালদহ জেলা পরিষদে দলের আট সদস্যের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর৷ তার জেরেই কি এই মন্তব্য করে বসলেন প্রদেশ সভাপতি?

Advertisement

অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা সভাধিপতি কংগ্রেসের সরলা মুর্ম-সহ আটজন ও সিপিএমের আটজন, অর্থাৎ মোট ১৬ জোট সদস্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন৷ এদিন সকাল থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে চলা সদস্যদের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল৷ তবে যোগদান প্রক্রিয়া কবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে কোনও পক্ষই মন্তব্য করতে চাননি৷ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকেও এখনও সবুজ সংকেত মেলেনি বলে খবর৷ এতদিন পর্যন্ত মালদহ জেলা পরিষদের মোট ৩৮টি আসনের মধ্যে বাম ও কংগ্রেসের ছিল ১৬ জন করে সদস্য৷ বাকি ছ’টি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের৷ এই ১৬ জোট সদস্য যোগ দিলে তৃণমূলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২২ জনে৷ গত বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিএম ও কংগ্রেস জোট করে এই জেলায় তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দেয়৷ এরপরই সমস্যার শুরু৷

সমাজবাদী পার্টির সদস্য মিলন দাস জানিয়েছেন, “অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছে৷ আমাদের দুই সদস্য যোগ না দিলেও তৃণমূলকে সমর্থন করছি৷ কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এই জেলায় কংগ্রেস নেতাদের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার পেয়েছি আমরা৷ জেলার উন্নয়ন করতে গেলে তৃণমূলকেই সমর্থন করতে হবে৷” কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের একাধিক সদস্য মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীরর নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দেন৷ সেদিনই শুভেন্দুবাবু জানিয়ে দেন, “এ বছরের মধ্যেই মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের অধীনে চলে আসবে৷” দলছুটদের আটকে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নূর৷ প্রথমে তাঁকে ফোনে ধরা না গেলেও পরে তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, “চারজন গোপনে দল ছাড়ছে বলে শুনেছি৷” যদিও তৃণমূলে এই যোগ দেওয়া আটকাতে জেলার সিপিএম নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে কংগ্রেস জেলা নেতৃত্ব৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ