বাবুল হক, মালদহ: একই মঞ্চে মুসলিম রীতিতে বিয়ের ‘কলমা পাঠ’, হিন্দু রীতি মেনে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ, সিঁদুর দান। সাত পাকে বাঁধন। হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান-আদিবাসী। চার ধর্মের রীতি মেনে ত্রিশ জোড়া তরুণ-তরুণীর এক অন্যরকম বিয়ের অনুষ্ঠান দেখল চাঁচোল। দেশজুড়ে যখন বিভাজনের রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়েছে, ঠিক তখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়ল মালদহের চাঁচোলের এই গণবিবাহের আসর।
একই মঞ্চে হিন্দু পুরোহিত এবং মুসলিম মৌলবীও। ছিলেন ফাদারও। পুরোহিতের মন্ত্র ও মৌলবীর ‘কলমা’ উচ্চারণে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন চার ধর্মের ৩০ জোড়া তরুণ-তরুণী। মঙ্গলবার আল-ইসলাহ ট্রাস্টের উদ্যোগে উত্তর মালদহের চাঁচোলের পাহাড়পুরে অনুষ্ঠিত হয় চার ধর্মের তরুণ-তরুণীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠান। এদিন দুপুরে ৩০ জন বরকে নিয়ে আসা হয় মঞ্চে। প্রত্যেকের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি, গলায় মালা। মঞ্চে আসেন কনেরাও।
চন্দনার বেনারসিতে সাজিয়ে তোলা হয় কনেদের। অতিথিদের উপস্থিতিতে বিয়ের রীতিনীতি মেনে মালাবদল করেন ৩০ জোড়া পাত্রপাত্রী। হয় সিঁদুর দান। আর ইসলামিক মতে পাত্র-পাত্রীদের মুখে বলানো হল ‘কবুল কবুল কবুল’। বিয়ের সাজের পাশাপাশি পাত্রকে দেওয়া হয় খাট, বিছানা, সেলাই মেশিন সহ সাংসারিক সরঞ্জাম। ছিলেন বরযাত্রী দল, কনে পক্ষের লোকজনও।
[আরও পড়ুন: ‘উদ্বাস্তুদের নিয়ে মিথ্যে বলছে বিজেপি’, মতুয়া গড়ে দাঁড়িয়ে NRC-CAA বিরোধিতা মমতার]
বর ও কনেপক্ষ, উভয়কেই বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনদর আনতে বলা হয়েছিল। বিয়ের শেষে বর ও কনেযাত্রী-সহ বেশ কয়েক হাজার অতিথি অভ্যাগতদের নিয়ে মহাভোজও করা হয়। কবজি ডুবিয়ে খেয়ে চরম খুশি তাঁরাও। এই গণবিবাহের মূল উদ্যোক্তা আল-ইসলাহ ট্রাস্টের সভাপতি মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা গণবিবাহ কর্মসূচি দু’বছর অন্তর অন্তর করি। এবারও আমরা মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও সাঁওতাল, এই চার ধর্মের মোট ৩০ জোড়া পাত্রপাত্রীর বিবাহ দিলাম। সেই সঙ্গে তাঁদের সাংসারিক সরঞ্জামও দেওয়া হয়েছে।”
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- একই মঞ্চে মুসলিম রীতিতে বিয়ের 'কলমা পাঠ', হিন্দু রীতি মেনে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ, সিঁদুর দান।
- হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান-আদিবাসী। চার ধর্মের রীতি মেনে ত্রিশ জোড়া তরুণ-তরুণীর এক অন্যরকম বিয়ের অনুষ্ঠান দেখল চাঁচোল।
- মঙ্গলবার আল-ইসলাহ ট্রাস্টের উদ্যোগে উত্তর মালদহের চাঁচোলের পাহাড়পুরে অনুষ্ঠিত হয় চার ধর্মের তরুণ-তরুণীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠান।