সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও কোণঠাসা বিমল গুরুং। জিটিএর চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। মোর্চা সুপ্রিমোর নির্দেশে বাকি পদাধিকারীরাও জিটিএ ছেড়েছেন। এবার তাঁর পাহাড় প্রশাসনে ফেরার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেল। পাহাড়ের জন্য নতুন বোর্ড গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে বহিষ্কৃত মোর্চা নেতা বিনয় তামাংকে। তাঁর ডেপুটি হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী অনীত থাপাকে মনোনীত করেছেন।
[বাংলা ছেড়ে সিকিমে জুড়তে চায় দার্জিলিং, রোশনের দাবিতে বিতর্ক]
পাহাড়ে নয়া সমীকরণ। বিমল গুরুংকে পিছনে ফেলে এবার প্রশাসনিক দায়িত্ব পেলেন বিনয় তামাং। পাহাড় পরিচালনায় বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে একথা ঘোষণা করে তিনি জানান বোর্ডের শীর্ষে থাকবেন বিনয় তামাং। আর ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে আরও এক বহিষ্কৃত মোর্চা নেতা অনীত থাপাকে। কয়েক দিন আগে দুই নেতাই নবান্নে এসে বৈঠক করে যান। তারা জানিয়েছিলেন পাহাড় সচল করাই উদ্দেশ্য। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে টানা বনধের জন্য প্রশাসনিক কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে। এর জন্য নতুন বোর্ড গঠন। এই বোর্ডের সচিব হয়েছেন বরুণ রায়। নয়া বোর্ডের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে রোশন গিরিদের সঙ্গে বৈঠকে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি সাংবিধানিক কাজ। ইউএপিএতে অভিযুক্ত এক নেতার সঙ্গে এধরনের বৈঠক ঠিক হয়নি বলেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, জিটিএর নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নতুন বোর্ড পাহাড়ের প্রশাসন চালাবে। এই বোর্ডে আটজন থাকছেন। যার মধ্যে রয়েছেন মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান এলবি রাই। মোর্চার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন কারও এটা পছন্দ না হতেও পারে।
[রাজ্যের দেওয়া ‘জেড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ছাড়লেন মুকুল]
রাজ্য সরকার যে নতুন বোর্ড গড়তে চলেছে তা বোধহয় আঁচ পেয়েছিলেন বিমল গুরুং। মঙ্গলবার গোপন ডেরা থেকে মোর্চা সভাপতি এক অডিও বার্তায় বিনয় তামাংদের গতিবিধি নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাহাড় স্বাভাবিক করতে মুখ্যমন্ত্রীর এই কৌশলী চালে মোর্চা আরও চাপে পড়ে গেল মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।