Advertisement
Advertisement

Breaking News

উসকানি দিতে পারে বিজেপি, গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অভিনব জনসংযোগ।

Mamata Banerjee sends individual letter to people of West Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 4, 2018 2:08 pm
  • Updated:August 21, 2018 8:06 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘দিদির চিঠি পেয়েছেন!’ ‘চিঠি? কোথায়? কী আছে তাতে?’ ‘দিদি বলেছেন, ‘রাজ্যে বিরোধীরা অশান্তি ছড়াচ্ছে। সবাইকে এক হয়ে থাকতে হবে। উসকানিতে পা দিলে চলবে না।’ আরও কত কী!পাননি? বাংলায় লেখা দু’পাতার চিঠি। কালীঘাটের বাড়ি থেকে এসেছে। শেষে দেখবেন দিদি সইও করে দিয়েছেন। দেখুন বাড়িতে এসে পড়ে আছে কি না?’ কথোপকথনটি কাল্পনিক নয়। ঘোরতর বাস্তব। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে গ্রামবাংলায় ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি।

[কমিশনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত, প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি মঙ্গলবার]

Advertisement

বিস্তর আইনি জলঘোলার পর কমিশন এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করার কথা ঘোষণা করছে বটে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১৪ মে রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে রাজ্যে সবকটি পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু, নিরাপত্তার দাবি তুলে ফের কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম। শুক্রবার কমিশনকে রীতিমতো তিরস্কার করেছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, কমিশনের কাছ নিরপেক্ষতা আশা করা হয়। আর ভোট নিয়ে এই দীর্ঘসূত্রিতাকেই কাজে লাগাতে চাইছে শাসকদল। পথে নেমে ঝোড়ো প্রচার না করলেও, গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে খোদ তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি।

Advertisement

[দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র চাইল আদালত]

পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের আবেদন সাড়া দিয়ে প্রথম দফায় ঘোষিত নির্ঘন্ট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশে বাড়তি একদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে বিরোধীরা। চুপ করে বসে নেই শাসকদল তৃণমূলও। খোদ দলনেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে উঠে এল বিরোধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ। নির্দিষ্টভাবে কোনও দলের নাম না নিলেও, চিঠিতে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আবেদন, ’রাজ্যের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সম্প্রীতি ও একতাকে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দল নষ্ট করতে চায়। তাদের সেই অপপ্রচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। কোনওরকম কুৎসা ও অপপ্রচারকে বিশ্বাস করবেন না। এসব বাংলাকে অসম্মান করার এক রাজনৈতিক চক্রান্ত।‘ কোনও দল বা প্রার্থী যাতে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জিততে না পারে, সেদিকে খেয়াল করার অনুরোধ করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি লিখেছেন, ‘মনে রাখবেন আমরাই মা-মাটি-মানুষের প্রকৃত সঙ্গী। অন্য কেউ নয়।‘ চিঠিতে তৃণমূল জমানায় রাজ্যে উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে। কোথাও কন্যাশ্রী, কোথাও যুবশ্রী, আবার কোথাও লোকশিল্প প্রসারে সরকারি উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্ক-প্রসূত প্রকল্পগুলি ধরে ধরে বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বানিয়ে ফেলেছেন শাসকদল। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[দমদম মেট্রো স্টেশনে ফের শ্লীলতাহানি! নীতি পুলিশির প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আক্রান্ত ছাত্রীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ