Advertisement
Advertisement

Breaking News

বছরে ১২ লক্ষ সাইকেল কিনবে রাজ্য, কারখানা চান মুখ্যমন্ত্রী

কারখানা তৈরি হলে, কর্মসংস্থান যেমন হবে, তেমনই পড়ুয়াদের জন্য সাইকেল কিনতে রাজ্যের খরচও কমবে৷

Mamata wants factory for cycle in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 22, 2016 9:10 am
  • Updated:June 22, 2022 2:41 pm

কিংশুক প্রামাণিক, কালিম্পং: সবুজসাথী প্রকল্পে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২ লক্ষ সাইকেল এখন থেকে লাগবে৷ এই সুযোগ কাজে লাগাতে রাজ্যে সাইকেল কারখানা গড়ার জন্য শিল্পমহলের কাছে আবেদন রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বুধবার শিলিগুড়ি থেকে ফের রাজ্যে পড়ুয়াদের সাইকেল বিলি কর্মসূচির সূচনা করেন মমতা৷ নবম থেকে দ্বাদশ, এই চার শ্রেণিতে সাইকেল বিলি হয় সবুজসাথী প্রকল্পে৷ নবম শ্রেণি ছাড়া রাজ্যে বাকি তিন ক্লাসের সাইকেল বিলি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে ভোটের আগেই৷ প্রায় ৩০ লক্ষ পড়ুয়া সাইকেল পেয়ে গিয়েছে৷ এদিন বকেয়া নবম শ্রেণির সাইকেল বিলি শুরু হল৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবুজসাথী প্রকল্পে এখন থেকে প্রতি বছর নবম শ্রেণিকে সাইকেল দিলেই হবে৷ যে নবম শ্রেণিতে সাইকেল পাবে সে দ্বাদশ পর্যন্ত সেই সাইকেল ব্যবহার করতে পারবে৷ প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ সাইকেল লাগবে৷ বাইরে থেকে আমাদের আনতে হয়৷ রাজ্যে কেউ সাইকেল কারখানা করলে আমরা কিনতে পারি৷”

Advertisement

সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, সাইকেলের যন্ত্রাংশ ভিন রাজ্য থেকে কেনে সরকার৷ পরে যন্ত্রাংশ একত্রিত করে সাইকেল তৈরি হয়৷ সেগুলি বিলি করা হয় স্কু্লে৷ এই যন্ত্রাংশ মূলত আসে দক্ষিণ ভারত থেকে৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, রাজ্যেই কোনও সংস্থা বা কারখানা তৈরি করুক৷ এখন থেকে প্রতি বছরই নবম শ্রেণিকে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ সাইকেল দেবে সরকার৷ রাজ্যের নতুন কেউ কারখানা করলে এই বরাত তাঁরাই পাবেন৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যে যেমন নতুন করে একটি সাইকেল কারখানা তৈরি হবে, কর্মসংস্থান হবে, তেমনই পড়ুয়াদের জন্য সাইকেল কিনতে রাজ্যের খরচও কমবে৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতার ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ৷

Advertisement

সিঙ্গুর পর্ব মেটার পর শিল্পায়নে আরও গতি আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নানা পরিকল্পনা তাঁর মাথায়৷ সেই প্রেক্ষিতে এদিন তাঁর রাজ্যে সাইকেল কারখানা করার জন্য শিল্পমহলের কাছে আহ্বান গুরুত্বপূর্ণ৷ এদিন দুপু্রে বিমানে বাগডোগরা এসে মমতা শিলিগুড়িতে সাইকেল বিলি কর্মসূ্চিতে অংশ নেন৷ পরে রওনা হন কালিম্পংয়ের উদ্দেশে৷ পাহাড়ে ক’দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল৷ কিন্তু এদিন বিকেল থেকে আবহাওয়া একটু ভাল হয়৷ পরপর জলাধার নির্মাণের জন্য তিস্তার রূপবৈচিত্র সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে৷ যার ফলে সেবক থেকে বিভিন্ন জায়গায় নামছে ধস৷ এদিন মমতা সেই ধস প্রত্যক্ষ করতে করতে সফর করেন৷ কয়েকটি এলাকা রীতিমতো বিপজ্জনক৷ পরিস্থিতি দেখে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷

বস্তুত, সিকিম সরকারের সুবিধার্থে তৈরি তিস্তার হাইড্রাল প্রকল্পগুলি যে এই এলাকার ভৌগোলিক সমন্বয় নষ্ট করে দিচ্ছে, প্রবল প্রতিকূলতার মুখে পড়ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি, তা নিয়ে আগেই মমতা সরব হয়েছিলেন৷ এদিকে যথারীতি পাহাড়ে বিপুল সংবর্ধনা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পুজো এলেই বিমল গুরুংদের আন্দোলন শুরু হয়৷ ‘উই ওয়ান্ট  গোর্খাল্যান্ড’ ফেস্টুন মেরে তারা রিলে অনশন শুরু করেছেন৷ আসলে সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে লক্ষ্য করে৷ কিন্তু এদিন দেখা গেল মোর্চার কর্তৃত্ব পাহাড়ে কতটা কমেছে৷ মোর্চাকে পাত্তা না দিয়েই রাস্তায় নেমে মমতার নামে জয়ধ্বনি দিল মানুষ৷ বিশেষ করে যে যে সম্প্রদায়কে নিজস্ব বোর্ড দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই শেরপা, তামাং, রাই, লিম্বু ইত্যাদি সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের ‘ট্র্যাডিশনাল’ পোশাকে মুখ্যমন্ত্রীকে কালিম্পং পাহাড়ে বরণ করলেন উৎসবের মেজাজে৷ বিমল গুরুংদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাঁরা স্লোগান দেন, উই ওয়ান্ট পিস৷

দশটি উন্নয়ন বোর্ড মমতা ইতিমধ্যে গড়ে দিয়েছেন৷ আরও দু’টি সম্প্রদায় এদিন বোর্ডের দাবি তুলেছে৷ যদিও দশ বোর্ডের মধ্যেই পাহাড়ের সব জনজাতিকে কভার করে দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে৷ তামাং ও লেপচা সম্প্রদায়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন ধরে অংশ নেবেন৷ মমতা আসার আগেই এখানে এসে গিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেনরা৷ মুখ্যমন্ত্রীকে কালিম্পংয়ে স্বাগত জানায় হরকাবাহাদুর ছেত্রীর দল জন আন্দোলন পার্টির কর্মী৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ