সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। চোর সন্দেহে এক ব্যক্তির সারা শরীরে সুচ ফুটিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। চোখেও বিঁধিয়ে দেওয়া হয় সুচ। উপড়ে ফেলা হয় নখ। দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আক্রান্ত গোলাম বারি কাজির। পুলিশ আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিসার ব্যবস্থা করে। ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত পলাতক।
[এবার শহরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হানা ‘নীল তিমি’র, সিআইডির হস্তক্ষেপে শেষরক্ষা]
পুলিশ সূত্রে খবর, বামুনগাছি পঞ্চায়েত এলাকার ঠাকুরদার একটি দোকানে সম্প্রতি চুরি হয়। দোকানটির মালিক জুলফিকার গাজি নামে এক ব্যক্তি। গোলাম চুরি করেছে, এই সন্দেহে তাঁকে ফোন করে জয়নগরে ডাকা হয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ঠাকুরদা গ্রামে। সেখানে গোপন একটি জায়গায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই থামেনি অত্যাচার। এরপর রাস্তার ধারে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে গোলামের সারা শরীরে সুচ ফোটানো হয়। নিগ্রহের হাত থেকে চোখও রেহাই পায়নি। চোখে বিধিঁয়ে দেওয়া হল সুচ। পুলিশ জানিয়েছে, দু’দিন আটকে রেখে চলে নির্যাতন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করে।
[গণেশ পুজোর বিসর্জনে বাবুঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ৩]
আক্রান্ত গোলামকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পেশায় দিনমজুর। কখনও কাজের ফাঁকে গোলাম রিকশা চালান। গোলামের চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁর নখও উপড়ে ফেলা হয়। অভিযুক্ত দোকান মালিক জুলফিকার গাজি ঘটনার পর থেকে পলাতক। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। তাদের দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তন্ত্রসাধনার নামে এক দুধের শিশুর শরীর সুচ ফুটিয়েছিল পুরুলিয়ায় এক তান্ত্রিক। মৃত্যু হয়েছিল ওই শিশুর। অভিযুক্ত এখন গারদে। জয়নগরের ঘটনা দেখিয়ে দিল নৃশংসতা এতটুকু থামেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.