Advertisement
Advertisement

স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে শাশুড়িকে নিয়ে পালাল জামাই!

কেতুগ্রামে ঢি ঢি।

Man elopes with mother-in-law in Kathua
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 19, 2018 7:33 pm
  • Updated:May 19, 2018 7:33 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: বছর দু’য়েক আগে বিয়ে। এক বছরের সন্তানও রয়েছে তাঁদের৷ কিন্তু স্ত্রীকে ছেড়ে যে শাশুড়ির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে জামাই তা কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। শেষে সুযোগ বুঝে স্ত্রী সন্তানকে ফেলে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেল জামাই! তারপর থেকে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে অসহায় অবস্থা বধূর৷ শাশুড়ি-জামাইয়ের এই কাণ্ড লোকমুখে ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো লোক হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে৷

স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে রেখে শাশুড়িকে নিয়ে পালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার বধূর তরফে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ অভিযোগ, স্বামী প্রসেনজিৎ হাজরা, অনুরূপার মা মঙ্গলী হাজরাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়েছে৷ অনুরূপার সন্দেহ, কাজের টোপ দিয়ে কোথাও নিয়ে গিয়ে তার মাকে বিক্রি করে দিয়েছে স্বামী৷ প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে তাঁদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Advertisement

কেতুগ্রাম থানার বহরান গ্রামে বাপের বাড়ি অনুরুপার। বাবা কৃষ্ণ বর্মন পেশায় হকার। তিনি ফুচকা বিক্রি করেন। অনুরূপার মা মঙ্গলীদেবী গৃহবধূ। অনুরুপা তাদের একমাত্র সন্তান। উচ্চ মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ অনুরুপাদেবী। জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের বাসিন্দা মলিন হাজরার ছেলে প্রসেনজিতের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়। তারপর ২০১৬ সালে অনুরূপাদেবী পালিয়ে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎকে। প্রথমে বাড়িতে রাজি না থাকলেও পরে পরিবারের পক্ষে থেকে মেনে নেয়।

Advertisement

কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘প্রসেনজিৎ মোবাইল ফোনে আমার মেয়ের কাছে আনন্দ মণ্ডল নামে ও নিজেকে ঠিকাদার হিসাবে প্রথমে পরিচয় দিয়েছিল। বিয়ের পর জানতে পারি ওদের মুল পেশা শুকর-পালন ও জনমজুরি। তবু মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে জামাইকে ব্যবসায় নামিয়েছিলাম। নিজের বাড়ির কাছে ঘর তৈরি করে দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তার আগেই আমাদের সর্বনাশ করে চলে গিয়েছে প্রসেনজিৎ।’’

অনুরূপা জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে তার ১ বছরের ছেলে রণজিৎকে নিয়ে তিনি গত ৪ মে বাপের বাড়িতে আসেন। স্বামীও সঙ্গে ছিল। দু’দিন পর এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ৬ মে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর অনুরূপাদেবী তার মা ও ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন। পাশের ঘরে শুয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। কৃষ্ণবাবু ব্যবসার কাজে বাইরে ছিলেন। বিকেলে ঘুম থেকে ওঠার পর অনুরূপা দেখতে পান তাঁর মা ও স্বামী বাড়িতে নেই। তারপর তিনি বাবাকে খবর দেন। প্রতিবেশীদেরও জানানো হয়। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও দু’জনের হদিশ পাওয়া যায়নি। ৯ মে কেতুগ্রাম থানায় অনুরূপাদেবী নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে মাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও কেতুগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে দু’জনের সন্ধান চালানো হচ্ছে।

তাহলে জামাই শ্বশুড়ির এই পরকীয়া কি আদৌ জানতেন না পরিবারের সদস্যরা? কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী আমার কাছে দু’একবার বলেছিল প্রসেনজিৎ তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। আমি বলেছিলাম ও ছেলের মতো। মেয়ের স্বার্থে ওকে বোঝাতে। ভেবেছিলাম নেশার ঘোরে প্রসেনজিৎ বলে ফেলেছিল। কিন্তু এতবড় অপরাধ করতে পারে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।’’ অনুরূপা বলেন, ‘‘আমি, বাবা ও আমার সন্তান এই তিনজনের এখন অসহায় অবস্থা। কিভাবে বেঁচে থাকব সেটাই চিন্তার।’’

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ