দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য। ধুন্ধুমার কাণ্ড দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে। রাতে ডিএন ঘোষ রোডে ভাইস চেয়ারম্যানের অনুগামীরা তাণ্ডব চালান বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত-সহ বেশ আরও দু’জনের বাড়িতে চলে ভাঙচুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশ। যিনি ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁকে আটক করেছে বজবজ থানার পুলিশ।
[রথের মেলায় তাণ্ডব মদ্যপ পুলিশকর্মীর, বারাসতে নাক কাটা গেল প্রশাসনের]
বজবজ পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড। ডিএন ঘোষ রোডের বাসিন্দা সুরজিৎ পালোই। একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরি করেন তিনি। ফেসবুকে সুরজিৎ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তখন সবেমাত্র শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা। হুড়মুড় এলাকায় ঢুকে পড়েন ভাইস চেয়ারম্যানের অনুগামীরা। সুরজিতের বাড়িতে শুরু হয় ভাঙচুর। ভাঙচুর চলে আরও দু’টি বাড়িতে। এলাকার তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে, পুলিশ লাঠিচার্জ করতে হয়। আটক করা হয় অভিযুক্ত সুরজিৎ পালোইকে।
যদিও এলাকায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে আমার সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য সকলেরই চোখে পড়েছে। ঘটনাটি জানার পর বজবজ থানার খবর দিয়েছি।’ তাঁর দাবি, অভিযুক্ত সুরজিৎ পালোই বিজেপি সমর্থক। এদিকে রাতবিরেতে এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্ন, কেউ যদি ফেসবুকে কারও সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে তো থানায় অভিযোগ করা উচিত। এলাকায় এভাবে তাণ্ডব চালানো হল কেন?
[অরণ্য সপ্তাহে ৩০ হাজার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ সাঁইথিয়ায়]