বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: মজুরির টাকা নিয়ে মতবিরোধ। এর জেরে খুড়তুতো ভাইকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম শোনাজুল শেখ ওরফে সুজা (৩০)। এই ঘটনায় অভিযোগের তির মৃতের তুতোভাই কালুর দিকে। অভিযোগ, টাকা না দেওয়া নিয়েই গন্ডগোল। রাগের মাথায় বচসা চলাকালীন সুজাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে কালু। যদিও ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই এলাকা ছেড়ে উধাও অভিযুক্ত। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার শোনডাঙা এলাকায়।
[পুরস্কারের ফাঁদে কিশোর, মোবাইলের বদলে পার্সেলে এল নুড়িপাথর]
জানা গিয়েছে, ২৫০টাকা মজুরিতে কাজ করতেন সুজা। কোনওদিন রাজমিস্ত্রির কাজ তো কোনওদিন জোগাড়ে। কোনওদিন আবার মাটি কাটার কাজ। কাজ যাই হোক, দিনের পারিশ্রমিকও ওই আড়াইশোতেই বাঁধা ছিল। দুই তুতোভাই কালু সুজা প্রতিদিন কাজ করতেন না। হাতে টাকা থাকলে সেদিনের মতো কাজে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। যতক্ষণ না টাকা ফুরোচ্ছে ততক্ষণ কাজ বন্ধ। এলাকার বেশিরভাগ যুবকের একই অবস্থা। এভাবেই দিব্যি চলছিল। গোল বাধল রবিবার রাতে। দিন কয়েক আগেই ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন দু’জনে। গোট সপ্তাহে মাত্র একদিন কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। রবিবার ঠিকাদার সংস্থার তরফে দু’ভাইয়ের একজনকে ডেকে তাঁদের পারিশ্রমিকও মিটিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে টাকা পাওয়ার পর তা সুজাকে দিতে চাননি কালু। এনিয়েই তাঁদের মধ্যে বচসা বাধে। একটা সময় হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। রাগের বশে সুজাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেয় কালু। রক্তাক্ত অবস্থায় সুজাকে পড়ে যেতে দেখে ততক্ষণে পালিয়ে গিয়েছে সে। স্থানীয়রা আক্রান্ত যুবককে তড়িঘড়ি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই কালুর বিরুদ্ধে সুজাকে খুনের অভিয়োগ দায়ের হয়েছে কৃষ্ণনগর থানায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।