সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রতিবেশী বন্ধুর পচাগলা দেহ নিয়ে টানা ১২ দিন ঘরে ছিল, স্বাভাবিক জীবনযাপনও করছিল। তাল কেটে গেল শুক্রবার সন্ধের দিকে। গ্রামেরই আরেকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করতে (Attempts to murder) উদ্যত হয় যুবক। হুমকি দিতে থাকে, “কেষ্টর মত তোকেও মেরে, ঘরে রেখে দেব।” বর্ধমানের গলসিতে যুবককে গ্রেপ্তারের পর কীর্তি শুনে হতভম্ব পুলিশ। সে সাইকো কিলার কি না, তা নিয়েও ঘনিয়েছে রহস্য।
শুক্রবার সন্ধে নাগাদ গলসির কুদরুকি গ্রামের বাসিন্দা বাদল হাজরার উপর আচমকা হামলা চালায় উৎপল বাগ নামে যুবক। সেইসঙ্গে হুমকি, “কেষ্টর মত তোকেও মেরে, ঘরে রেখে দেব।” এই কথাতেই সন্দেহ হয় বাদলের। তিনি চিৎকার করে সকলকে ডাকেন। এরপর গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরে ফেলে উৎপল বাগ নামে ওই যুবককে। তাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন, ঘরের মেঝেয় পড়ে রয়েছে কেষ্ট বাগদি নামে প্রতিবেশী যুবকের দেহ। গত বারোদিন ধরে কেষ্ট নিখোঁজ ছিলেন। সকলেই বুঝতে পারেন, উৎপলের হাতেই খুন হয়েছে কেষ্ট। ততক্ষণে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। আটক করা হয় উৎপলকে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: পণের অঙ্ক মেটাতে পারেনি কনের পরিবার, বর বিয়ে করতে না আসায় আত্মঘাতী পাত্রী]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপল ও কেষ্টর কাছাকাছিই বাড়ি। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। কেষ্টর স্ত্রী সীমা বাগদি শুক্রবার পুলিশে মিসিং ডায়েরি করেন, তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে। সীমাদেবী জানান, ১২ ধরে তার স্বামীর কোনও খোঁজ মিলছে না। গ্রামবাসীদের দাবি, কেষ্টকে খুন করে ঘরের মেঝেতে দেহ ফেলে রেখেছিল উৎপলই। কেষ্টবাবুর স্ত্রী উৎপল বাগের বিরুদ্ধে পুলিশে খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্ত মানসিক বিকারগ্রস্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, উৎপল মোটেই মানসিক বিকারগ্রস্ত নয়। পরিকল্পনা করেই সে খুন করেছে।