সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: উদ্ধার করে দায় সেরে ফেলা নয়। নিজেদের আশ্রয়ে রেখে চিকিৎসা করিয়ে এক ব্যক্তির জীবন ফিরিয়ে দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। পরিবারের লোকেদের কাছে তাঁদের আরজি, ওই সংস্থা কিংবা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগে বাড়ির লোকদের ফিরিয়ে নিয়ে যান। মানবিকতার সাক্ষী থাকল শৈলশহর দার্জিলিং।
[তিনদিন প্ল্যাটফর্মে পড়ে অসুস্থ বৃদ্ধা, ফিরেও দেখল না কেউ!]
ঘটনাটি ঠিক কী? মাস আটেক আগে দার্জিলিং শহরে রাস্তার পাশে একটি নদর্মায় পড়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। গোঙানির শব্দ শুনেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, সকলেই পাশ কাটিয়ে চলে যান। তাঁকে উদ্ধার করার কোনও উদ্যোগ নেননি কেউ। শেষ পর্যন্ত, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। সংস্থার সদস্য পিংকি বিশ্বকর্মা জানিয়েছেন, নর্দমায় পুরোপুরি নগ্ন অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তিনি সুস্থ নন। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। প্রায় এক মাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে সিকিমের একটি হাসপাতালে। এখন শারীরিকভাবে অনেকটা সেরে উঠেছেন তিনি। নিজের নাম ও বাড়ির ঠিকানাও জানিয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম রাজু রায়। বাড়ি কোচবিহারের মধুপুরে।
কিন্তু, কোচবিহার থেকে কীভাবে দার্জিলিংয়ে চলে এলেন রাজু? তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য পিংকি বিশ্বকর্মা জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে সেরে উঠেছেন ঠিকই। তবে মানসিক সমস্যা এখনও কাটেনি। তাই রাজুকে একা ছাড়তে পারছেন না তাঁরা। দার্জিলিংয়ের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা চাইছেন, তাঁদের সঙ্গে কিংবা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজু রায়কে ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকেরা।
[ আরশোলার ভয়ে পালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কিশোরীর]