বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বেশ কয়েক বছর ধরে দাম্পত্য সম্পর্ক উষ্ণতা হারায়। যুবক জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী পরপুরুষকে মন দিয়েছেন। অশান্তির জল গড়ায় আদালতেও। খোরপোশের মামলা বাবদ ১ লক্ষ টাকাও নেন মহিলা। তবে স্বামীর অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও করেননি। ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখেছেন গাড়ি। ছেলেকেও তাঁর কাছে আসতে দেন না। তাই স্ত্রীর বাপের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন স্বামী।
নদিয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপ কুমার মজুমদারের সঙ্গে শান্তিপুর দু’নম্বর কলোনির তরুণীর বিয়ে হয়। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। দাম্পত্য সম্পর্ক কয়েক বছর আগে উষ্ণতা হারায়। স্বামীর দাবি, নানা জায়গা থেকে কানাঘুষো শুনতে পান স্ত্রী অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। প্রথমে বিশ্বাস করেননি। পরে দেখেন স্ত্রী দিনরাত মোবাইলে ব্যস্ত। হয় কথা বলছেন। নয়তো চ্যাট করতে ব্যস্ত থাকতেন। এরপর ধীরে ধীরে জানাজানি হয় সত্যিই পরপুরুষকে মন দিয়েছেন ওই মহিলা।
তাতেই সম্পর্কের অবনতি হয়। মাঝে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন মহিলা। ইতিমধ্যেই স্বামীর বিরুদ্ধে খোরপোশের মামলা করেন। মাঝে আচমকা একদিন শ্বশুরবাড়িতে আসেন। স্ত্রী ও শাশুড়ির সামনে কান্নাকাটি করেন। ১ লক্ষ টাকা স্বামীর থেকে নেন তিনি। দাবি করেন, ওই মামলা প্রত্যাহার করবেন। তা সত্ত্বেও ওই মামলা প্রত্যাহার করেননি মহিলা। এমনকী স্বামীর বাইক আটকে রেখেছেন তিনি। সন্তানকে স্বামীর কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ।
স্ত্রীর আচরণের প্রতিবাদে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে ধরনা দিতে শুরু করেন যুবক। বুকে লাগানো পোস্টারে স্ত্রী এবং ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আরজি জানিয়েছেন। যদিও ওই ব্যক্তির স্ত্রী সুচন্দা বিশ্বাসের কোনও হেলদোল নেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান শান্তিপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উৎপল সাহা। তিনি জানিয়েছেন, “দম্পতির ছ’বছরের একটি সন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। খবর পেয়ে আমি এসেছি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হবে, তা জানিনা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.