সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: মাসতিনেক আগে শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেল হেফাজতে দিন কাটাতে হয়। জামিনে মুক্তির পর ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ল যুবক। ধৃতের নাম মজিবুর শেখ ওরফে সুমন শেখ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার হাবাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওলাপুর এলাকায়। এই ব্যাপারে ভগবানগোলা থানার ওসি দীপক হালদার বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
হাবাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচাঁদ মাটি এলাকার বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক মজিবুর শেখের সঙ্গে মাসছয়েক আগে বিয়ে হয় একই পঞ্চায়েতের ওলাপুরের বাসিন্দা রিঙ্কা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। এক সময় স্ত্রী রিঙ্কার উপর রাগ করে শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় জামাই মজিবুর। সেই অভিযোগে ৩ মাস জেলও খাটতে হয় তাকে। দিনকয়েক আগে জামিনে মুক্তি হয়েছে ওই গুণধরের। তারপরেই ফের শ্বশুরবাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করতে যায় মজিবুর। স্থানীয় বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেলে মজিবুরকে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।
রিঙ্কার মা চাঁদবানু বিবি বলেন, “জেল থেকে বেরিয়ে আমাদের হুমকি দিয়ে যায়। বলেছিল আগে বাড়ি পুড়িয়েছি এবার পেট্রল ঢেলে বাড়ি-সহ বাড়ির লোকজনকেও পুড়িয়ে মেরে জেলে যাব। আমি ওর হুমকির কথা আগে পুলিশকে জানিয়েছিলাম। এবার ওর সাজা হোক।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হাজিকুল ইসলাম বলেন, ” এর আগে পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি স্থানীয়রা সংস্কার করে। কিন্তু এবার ওই গুণধর যে কাণ্ড করতে গিয়েছিল তাতে পাড়া-প্রতিবেশী দেখতে না পেলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।”
এদিকে ধৃত মজিবুর আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করেনি। সে বলে,”আগেরবার বাড়ি পুড়িয়েছিলাম। কিন্তু এবার ওই রাস্তা দিয়ে জমিতে কাজ করতে যাচ্ছিলাম। তখন কিছু লোক আমাকে হাঁসুয়া নিয়ে তাড়া করে। আমি প্রাণের ভয়ে পালাতে চেষ্টা করি। ওরা আমাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এবার আমাকে ফাঁসানো হল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.