সুমন করাতি, হুগলি: হুগলি (Hooghly) জেলা থেকে অবলুপ্তির পথে টালি শিল্প। এই জেলার বলাগড় টালি শিল্পের জন্য বরাবর বিখ্যাত। কিন্তু তা এখন প্রায় বন্ধের পথে একের পর এক টালি তৈরির ভাটি। বলাগড়ে যেমন বিখ্যাত নৌ শিল্প, গুফো সন্দেশ, তেমনই বিখ্যাত ছিল এখনকার টালি শিল্প। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে সেই শিল্প অবলুপ্তির পথে।এই নিয়ে আক্ষেপ বলাগড়ের মানুষের মধ্যে।
একসময় বলাগড় (Balagarh),গুপ্তিপাড়া এর টালি শিল্প ছিল জেলার মধ্যে বিখ্যাত। এখানকার তৈরি হওয়া টালি যেত বাইরের রাজ্যেও। কিন্তু এখন আবাসনের রমরমা। তাই ভাটা পড়েছে টালির চাহিদায়। আর সেই কারণে এখন অবলুপ্তির পথে এই পুরোনো শিল্প। আগে এখানকার টালির ভাটাগুলোয় কাজ করেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের জীবিকা নির্বাহ হত এখান থেকেই। কিন্তু এখন সেই ভাটাগুলো বন্ধ। টালি তৈরির সঙ্গে যুক্ত মানুষজন পেটের তাগিদে অন্য কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। আর নতুন করে তৈরি হচ্ছে না টালি (Tiles)। এতেই কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ।
[আরও পড়ুন: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির উদ্বোধন, অভিযোগ জানানোর নম্বর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
একসময়ের গর্বের শিল্প এখন বন্ধের পথে। এলাকার বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল বলেন, ”এক সময় এখানে ভালো গঙ্গার পাড়ের মাটি দিয়ে টালি তৈরি হত। এখানকার টালি পাড়ি দিত ভিন রাজ্যেও।এখানকার যেমন নৌ শিল্প,গুফো সন্দেশ বিখ্যাত, তার সঙ্গে এখানকার টালি শিল্প ছিল বিখ্যাত। এখানকার গঙ্গার ভাল মাটি পাওয়া যেত বলে এখানের টালি খুব ভাল তৈরি হতো। আর এখান থেকে বিভিন্ন রাজ্যেও যেত টালি। এটা বলাগড়ের মানুষের কাছে দুঃখের।” টালি তৈরির এক ভাটি মালিক অচিন্ত মজুমদারের কথায়, ”একসময় সব সময় চালু থাকতো টালি তৈরির ভাটিগুলো।তখন বাইরের রাজ্য থেকেও আসতো অর্ডার। কিন্তু এখন সেটা প্রায় অতীত।এখন আর অর্ডার পাওয়া যায় না।তাই টালি তৈরির ভাটিগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে।” আর একসময় এই ভাটিগুলিতে বহু শ্রমিক কাজ করত, ভাটি বন্ধের পড়ে তাঁরাও এখন অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। এই টালি শিল্প একসময় বিখ্যাত হলেও এখন আর চাহিদা না থাকায় অবলুপ্তির পথে টালি শিল্প।