সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ১১ হাজার কেভির হাইটেনশন তারে ট্রলারের ওয়ারলেস অ্যান্টেনা লেগে দুর্ঘটনা। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ট্রলারে। ঘটনাটি ঘটল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ (Kakdwip) মৎস্যবন্দরে। সোমবার এই দুর্ঘটনায় শর্ট সার্কিট হয়ে ট্রলারটিতে আগুন ধরে যায়। গুরুতর আহত হন গোপাল দাস নামে এক মৎস্যজীবী। তিনি হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার পূর্ব গঙ্গাধরপুরের বাসিন্দা। তাঁকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
এফ বি তারামা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার সোমবার সকালে স্টিমার ঘাট থেকে কালনাগিনী নদীতে কালীনগরের দিকে যাচ্ছিল। বরফ, জ্বালানি তেল ভরতি করে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিল ট্রলারটি। ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরের কাছেই ওই নদীর উপর দিয়েই গিয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎবাহী তার। নিয়ম অনুযায়ী জোয়ারে ওই এলাকা পার হওয়ার সময় বিদ্যুৎবাহী তারে না লাগার জন্য ট্রলারে লাগানো ওয়ারলেস অ্যান্টেনা খুলে নিতে হয়। কিন্তু ভুলবশত অ্যান্টেনাটি খুলে না নেওয়ায় সেটি ওই হাইভোল্টেজ তারে লেগে যায়। তখনই শর্ট সার্কিট হয়ে অ্যান্টেনার সঙ্গে সংযোগ থাকা ট্রলারের ভিতরের ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ ঘটে। ভিতরে রাখা জ্বালানি ডিজেলের সংস্পর্শে এসে আগুন দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ে ট্রলারে।
[আরও পড়ুন: খুনের পর যৌন নির্যাতন, বর্ধমানের ‘চেন কিলার’কে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত]
কাকদ্বীপ ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, মৎস্যজীবীদের সকলেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিজেদের প্রাণরক্ষা করেন। তবে ট্রলারে থাকা গোপাল দাস নামে এক মৎস্যজীবী গুরুতর আহত হন। তাঁকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলারের আগুন নেভায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করে ট্রলারের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেননি কেউই। চারদিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ট্রলারটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে নেমে ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করেন।
দেখুন ভিডিও: