Advertisement
Advertisement

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘গাফিলতি’, হাত খোয়ালেন রোগী

মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ ওই ব্যক্তি।

medical negligence complaint against hospital
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 25, 2019 7:28 pm
  • Updated:February 25, 2019 8:43 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। এবার কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া। জানা গিয়েছে, বিষ খাওয়ার পরে চিকিৎসার জন্য এক রোগীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। অভিযোগ, প্রাণে বেঁচে গেলেও শুধুমাত্র চিকিৎসকদের গাফিলতির জেরেই একটি হাত অকেজো হয়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তির।

[মেলেনি বেতন, শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তপ্ত বাগরাকোটা চা বাগান]

পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার কাজিপাড়ার বাসিন্দা রাসু শেখ (৪৮)। মোটরবাইক সারানোর কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী চম্পা বিবির সঙ্গে ঝগড়া বাঁধে তাঁর। অভিযোগ, এরপরই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাসু। তড়িঘড়ি আত্মীয়রা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করে। প্রথমে তাঁকে জেনারেল ওয়ার্ডেই ভরতি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই ব্যক্তিকে এইচ ডি ইউ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতালের বেডের সঙ্গে ওই ব্যক্তির হাত ও পা বেঁধে রাখা হয়। রাসু শেখ জানান, এরপর থেকেই তার হাতে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয়। এবং হাত নাড়াচাড়া করতেই পারছিলেন না তিনি। সেই সময় তাঁর সমস্যার কথা চিকিৎসকদের জানান রাসু৷ চিকিৎসকরা বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে অসুবিধা ঠিক হয়ে যাবে৷ এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন ওই ব্যক্তি। হাতের সমস্যা ঠিক না হওয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারি ফের কাটোয়া হাসপাতালে যান তিনি। ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয় যে, তাঁর হাতের অবস্থা খারাপ। সমস্যা মেটার সম্ভাবনা খুবই কম।

Advertisement

[রাত নামলেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে জঙ্গলে, আতঙ্কিত আদিবাসীরা]

এরপরই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যান রাসু । সেখান থেকেও নেতিবাচক উত্তর মেলে৷ বর্ধমানের আরও একটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন তিনি। সব চিকিৎসকদের উত্তরে কার্যত হতাশ হন ওই ব্যক্তি। এরপরই কাটোয়া হাসপাতালের চিকিৎসার গাফিলতির কথা জানিয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ বেঁধে রাখার কারণেই ওই ব্যক্তির হাতের শিরা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। তার ফলেই এই ঘটনা। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যের এই পরিণতিতে সমস্যায় পরিবার।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ