Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রয়াত মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, সভাস্থল থেকেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন মমতা

এদিন সভার শুরুতেই মৃগেন মাইতির অসুস্থতার খবর জানিয়ে আরোগ্য কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Midnapore MLA Mrigen Maity passes away, Mamata Banerjee stands by bereaved family| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 7, 2020 4:28 pm
  • Updated:December 7, 2020 5:47 pm

সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রয়াত মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মৃগেন মাইতি। বেশ কয়েকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন তিনি। বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে ভরতি ছিলেন কলকাতার এসএসকেএমে। আজ দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন মেদিনীপুরে (Midnapore)। কলেজ মাঠে সভা করার পর মৃত্যুর খবর পেয়েই তিনি সোজা চলে যান বিধায়কের বাড়িতে। সেখানে পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা প্রকাশ করেন। সবরকমভাবে পরিবারকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

TMC
প্রয়াত মৃগেন মাইতির বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী

মেদিনীপুর কেন্দ্রের দু’বারের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন থেকে রাজনীতিতে পদার্পণ। ২০১১ সালের তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর দলে যোগদান এবং নির্বাচনে লড়ে বিধায়ক হওয়া। তাছাড়া মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যের দায়িত্ব সামলেছেন বছর সাতাত্তরের মৃগেন মাইতি।  জেলা তৃণমূল সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। সংগঠনও বেশ ভালভাবে করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ভরসাযোগ্য সহকর্মী ছিলেন মৃগেন মাইতি। কিন্তু বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন সম্প্রতি। গত ১ তারিখ অসুস্থ হয়ে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এসএসকেএমে। রবিবার রাত থেকে ক্রমশ পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আইন প্রত্যাহার করো, নয়তো ক্ষমতা ছাড়ো’, ভারত বন্‌ধকে সমর্থন করে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি মমতার]

সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সভা করতে গিয়ে শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মৃগেন মাইতির অসুস্থতার খবর জানিয়ে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছিলেন। রাজনীতিতে তাঁর অবদান সম্পর্কেও বক্তব্য রাখেন। আর সভা শেষের পরই তিনি খবর পান, আর নেই মৃগেন মাইতি। তা শুনে সভাস্থল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান সিপাই বাজারে, বিধায়কের বাড়িতে। স্ত্রী সুজাতাদেবীও অসুস্থ থাকায় দেখা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন তাঁর ভাই, ভাইপো ও ভাইজির সঙ্গে। সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মমতার সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এখান থেকেই বিধায়কের শেষকৃত্য নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ তিনি দিয়ে দেন দলকে। গোটা বিষয়টির দেখভালের দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তরকন্যা অভিযানে প্রাণহানি, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু ১ বিজেপি কর্মীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ