Advertisement
Advertisement

উপস্থিত বুদ্ধিতেই রক্ষা, প্রশাসনের সাহায্যে নিজের বিয়ে রুখল নাবালিকা

পুলিশ নিয়ে বাড়িতে হাজির জয়েন্ট বিডিও।

Minor stops her marriage

প্রতীকী ছবি

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 29, 2018 9:17 pm
  • Updated:November 29, 2018 9:17 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্টঃ সামনের বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। কিন্তু, বাড়ির লোকজন যে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন! শেষপর্যন্ত ব্যাংক যাওয়ার নাম করে সটান স্কুলে হাজির বছর ষোলোর কিশোরীটি। স্কুলের এক শিক্ষিকার তৎপরতায় নাবালিকার বিয়ে আটকালেন নদিয়ার তেহট্টের জয়েন্ট বিডিও বিধান বিশ্বাস।

[ দুষ্টুমির শাস্তি, বছর চারেকের শিশুর হাত মচকে দিলেন শিক্ষিকা!]

Advertisement

তেহট্টের নাটনা গ্রাম পঞ্চায়েতে গোপালপুরে থাকেন খোকন শিকদার। পেশায় তিনি দিনমজুর। স্থানীয় শ্রীদাম বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রী মেয়ে অশোকা। দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। কিন্তু মেয়েকে বেশিদূর পড়ানোর সামর্থ্য কোথায়! তাই মাত্র ষোলো বছর বয়সেই অশোকার বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছিলেন খোকন। চেনা-পরিচিতির মধ্যে ব্যবসায়ী পাত্রের সন্ধানও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিয়ে নয়, পড়াশোনা করতে চায় অশোকা। কিন্তু, বাবার মুখের উপর কথা বলার সাহস ছিল না। শেষপর্যন্ত উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা রুখে দিল বছর ষোলোর কিশোরীটি। হাতিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কন্যাশ্রী টাকা আনতে ব্যাংকে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় অশোকা। নিজের স্কুল শ্রীদাম বালিকা বিদ্যালয় যায় সে। গোটা ঘটনা খুলে বলে স্কুলের শিক্ষিকা তথা নোডাল অফিসার সুকন্যা মুখোপাধ্যায়কে। তিনি জানিয়েছেন, কাঁদতে কাঁদতে স্কুলে এসে অশোক বলে, ‘বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। আমি প়ড়তে চাই। আমাকে বাঁচান।’ আর দেরি করেননি সুকন্যাদেবী। তেহট্টের জয়েন্ট বিডিও বিধান বিশ্বাসকে খবর দেন তিনি। পুলিশ নিয়ে তেহট্টের গোপালপুরে গ্রামে অশোকার বাড়িতে হাজির হন জয়েন্ট বিডিও। অনেক বোঝানোর পর এখনই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন অশোকা শিকদারের বাবা ও মা।  

[ কড়কড়ে নোট নিয়ে চম্পট ইঁদুর, ক্যাশ বাক্স খুলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ