Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল কর্মী

নির্বাচনের আগে উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর দেহ, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা

খুন করা হয়েছে বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের৷

Missing Trinamool Congress worker found dead in Dinajpur
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 23, 2019 2:16 pm
  • Updated:March 23, 2019 2:16 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: রাতভর নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে উদ্ধার হল এক তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ৷ তাঁর সারা শরীরে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন৷ হরিহর দাস নামে ওই তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন? নাকি আত্মহত্যা করেছেন –  তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল ভাঙতে পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করেছে বিরোধীরা৷ তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে এনিয়ে খনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷

[আম নেই, আমসত্ত্ব দিয়ে আজ মালদহে রাহুলকে বরণ]

নিহত হরিহর দাস দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানার মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচহাটা এলাকার বাসিন্দা৷ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবেই পরিচিত তিনি৷ দলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর থেকে কোমর বেঁধে প্রার্থীর হয়ে প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেমেছিলেন হরিহর৷ শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে বেরোন হরিহর৷ সন্ধে পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে ফেরেননি৷ শুরু হয় খোঁজাখুঁজি৷ কিন্তু তাতেও লাভ কিছুই হয়নি৷ খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই তৃণমূল কর্মীর৷ শনিবার সকালে এলাকারই একটি বাড়ির পাশের ঝোপে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা৷ খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, ওই দেহটি নিখোঁজ তৃণমূল কর্মী হরিহর দাসের৷ খবর দেওয়া হয় কুশমন্ডি কিষাণ থানায়৷ ওই তৃণমূল কর্মীর দেহে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন৷ তাঁকে মারধর করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিজনদের৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিহরের দেহ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে৷  

Advertisement

[‘হাত মুচড়ে দিন’, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকি দিয়ে কমিশনের কোপে তৃণমূল নেতা]

দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি, সামনেই লোকসভা নির্বাচন৷ তার আগে দলের সক্রিয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে চায় বিরোধীরা৷ আর তাই পরিকল্পনা করে তাঁরাই হরিহরকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা৷ এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারির দাবিতে দেহ ঘিরে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান দলীয় নেতাকর্মী এবং তাঁর পরিজনেরা৷ বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আসে৷ তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মারধরের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই তৃণমূল কর্মীর দেহ ঝোপে ফেলে যাওয়া হয়েছে৷ আদতে হরিহরকে খুন করা হয়েছে, নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ