থানার বাইরে উদ্ধার হওয়া ওই তরুণ। নিজস্ব চিত্র
সুবীর দাস, কল্যাণী: অভিযোগ, বাবার ‘অত্যাচারে’ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল কিশোর। আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল অবিলম্বে সেই কিশোরকে খুঁজে বার করতে হবে। তিন বছর পর পাওয়া গেল তাকে। বছর ১৯-এর সৌম মিত্রকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়। বাবার সঙ্গে তিনি থাকতে চায় না। এমনই জানিয়েছেন ওই তরুণ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সৌম্য জানিয়েছে, নিজের ইচ্ছাতেই বাড়ি ছেড়েছিল এবং এতদিন আত্মগোপন করেছিল। ভবিষ্যতেও আর বাড়ি ফিরতে চায় না।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি নদিয়ার চাকদাহ থানার শিমুরালির। তেলিপুকুর এলাকায় বাড়ি সৌম্যদের। তাঁর বাবা সুবীর মিত্র পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী। মা টুম্পা মিত্র গৃহবধূ। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাদ ছিল। একদিন সেই বিবাদ চরমে উঠেছিল। সৌম্যর মা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। বাবার কাছেই সৌম্য বড় হতে থাকে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তার উপর বাবা মারধর করতেন, অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। ওই বছরই ২ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় সে। সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার আশায় চাকদাহ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা। তবে পুলিশ বহু প্রচেষ্টা চালিয়েও সেই সময় সৌম্যর খোঁজ পায়নি। এদিকে, কিছুদিন পর টুম্পা দেবীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ছেলের আর খোঁজ মেলেনি।
ছেলেকে খুঁজে পেতে কল্যাণী মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই পরিবার। আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল, সৌম্যকে অবিলম্বে খুঁজে বার করতে হবে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশ হাতে আসার পরেই তদন্তে গতি বাড়ায় চাকদহ থানার পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পাওয়া যায়, সৌম্য কলকাতায় রয়েছে। এরপরই পুলিশ কলকাতা থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে শিমুরালি পৌঁছয়। পুলিশের কাছে ওই তরুণ জানিয়েছে, নিজের ইচ্ছাতেই সে বাড়ি ছেড়েছে। আর বাড়ি ফিরতেও চায় না। কলকাতায় সে আত্মগোপন করেছিল। পুলিশ ওই তরুণকে এদিন কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.