Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘কালো’ বলায় খুন করে প্রতিশোধ আকাঙ্ক্ষাকে, স্বীকারোক্তি উদয়নের

পূজা, রীনা নামে আরও দুই প্রেমিকার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ৷

Mocked over dark complexion udyan murdered Akansha
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 8, 2017 8:14 am
  • Updated:February 10, 2017 11:44 am

স্টাফ রিপোর্টার, বাঁকুড়া: কী কারণে খুন হতে হল আকাঙ্ক্ষা শর্মাকে? উদয় ওরফে উদয়ন দাসকে জেরা যত এগোচ্ছে, ততই বাঁকুড়া পুলিশের হাতে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য৷ জেরার মুখে উদয়ন জানায়, প্রতিশোধ নিতেই সে খুন করেছে আকাঙ্ক্ষাকে৷ কীসের প্রতিশোধ সে নিল প্রেমিকার উপর? তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের প্রশ্নে উদয়নের সপাট জবাব, “আমার গায়ের রং কালো বলে কটাক্ষ করত৷ হেয় করত৷ তাই ওকে গলা টিপে মেরে দিয়ে প্রতিশোধ নিলাম৷” বুধবার তদন্তকারী অফিসাররা আকাঙ্ক্ষা খুনের অন্যতম মোটিভ হিসাবে উদয়নের এই স্বীকারোক্তির কথা জানিয়েছে৷

খাবার নিয়ে বায়নাক্কা জারি ‘সাইকো’ উদয়নের

Advertisement

আসলে অরকুট থেকে পরিচয় হওয়া আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অনেকদিনের সম্পর্ক উদয়নের৷ প্রথম পরিচয়ের সময়ে যে হেয় হয়েছিল তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে যে মনের মধ্যে ‘রাগ’ পুষে রেখেছিল তার প্রমাণ পেলেন তদন্তকারীরা৷ একইসঙ্গে তদন্তে নেমে বাঁকুড়া পুলিশ উদয়নের মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে অন্তত এক ডজন ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর হদিশ পেয়েছে৷ এর মধ্যে পূজা ও রীনা নামে দু’জনের সঙ্গে রীতিমতো ঘনিষ্ঠ প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের কাছে উদয়ন স্বীকারও করেছে৷ আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর পরেই পূজা ও রীনার সঙ্গে প্রেম হয়৷ তবে এই প্রেমের সম্পর্ক কতদিনের এবং তা কতটা ঘনিষ্ঠ তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করতে প্রয়োজনে ফের ভোপাল যেতে পারে৷

Advertisement

অন্যদিকে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়নের পরিবার হাওড়ার সালকিয়ায় একসময়ে বসবাস করত৷ তার কাকা এখনও সালকিয়ার বাড়িতেই থাকেন৷ পূর্ববঙ্গ থেকে রাজ্যে এসে সালকিয়ায় ডেরা বেঁধেছিল উদয়নের ঠাকুর্দা৷ কিন্তু কয়েকবছর হল উদয়নের বাবার মোবাইল থেকে আসা একটি এসএমএসের জেরে রবীন্দ্রকুমার দাস আর সম্পর্ক রাখেননি৷

মাত্র ৫০ টাকার জন্য মহিলাকে কোপাল যুবক

মঙ্গলবারই উদয়নকে বাঁকুড়া আদালত থেকে আট দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে জেলা পুলিশ৷ তাকে আপাতত রাখা হয়েছে বাঁকুড়া পুলিশ লাইনের সেফ হাউসে৷ সেখানেই মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে উদয়নকে৷ বুধবার সকালে এ নিয়ে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের কোনও কর্তাই মুখ খুলতে নারাজ৷ তবে পুলিশ সূত্রের খবর উদয়ন জেরায় জানিয়েছে, ২০০৭ সালে তার সঙ্গে আকাঙ্ক্ষার আলাপ হয়৷ কিন্তু তখন উদয়নের গায়ের রং কালো হওয়ায়, তাকে আকাঙ্ক্ষা তেমন পাত্তা দিত না৷ তাই আকাঙ্ক্ষাকেই প্রেমিকা হিসাবে পাওয়ার জেদ চেপে বসে উদয়নের মাথায়৷ আর সে সেটা করেও দেখায়৷ তদন্তকারীদের ধারণা, আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যখন সে ভোপালে থাকত, তখনও এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিকবার গোলমাল হয়েছিল৷ তার জেরেই সে প্রতিশোধ নেয় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, উদয়নের ক্রাইম-থ্রিলার দেখার শখ ছিল৷ আর সেই ধরনের একটি সিনেমা ‘ডেভিলস নট’ দেখতে দেখতেই সে আকাঙ্ক্ষাকে খুনের ছক কষে৷

পুলিশের একটি অংশের অনুমান, আরও কোনও অপরাধে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে এই বিকৃত মনস্ক অপরাধীর৷ অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আকাঙ্ক্ষার হাড় ও তাঁর বাবার রক্তের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে৷

শুটিং ফ্লোরে আগুন, ঝাঁপিয়ে পড়ে নায়িকাকে বাঁচালেন এই নায়ক

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ