Advertisement
Advertisement
সুগন্ধি

ইদের বাজারে পারফিউমের রমরমা, আতর ব্যবসা লাটে!

পারফিউমের কাছে হেরে যাচ্ছে তাজমহল, গুলবাহার, জান্নাতুল ফিরদাউস!

Modern perfumes deal a blow on traditional Ittar business
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 4, 2019 9:31 pm
  • Updated:June 4, 2019 9:31 pm

বাবুল হক, মালদহ: এবার আর কেউ কিনছেন না ‘জান্নাতুল ফিরদৌস’। এমনকী পিছিয়ে পড়েছে তাজমহল, গুলবাহারও। তাহলে এবার কী আর কেউ তাজমহল, গুলবাহার কিনবেন না? প্রশ্ন আবদুল আহাদদের। কে এই আবদুল?

আবদুল আহাদ একজন আতর বিক্রেতা। বাড়ি মানিকচকে হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মালদহ শহরের চিত্তরঞ্জন মার্কেটে আতর বিক্রি করেন তিনি। ইদ এলেই রোজগার বেড়ে যেত তাঁর। বছরে দু’টি ইদে আতর বিক্রি করে সারা বছর সংসার চালাতেন তিনি। কিন্তু বিশ্বায়নের দোলাচলে বদলে যাচ্ছে মফস্বল জেলা শহরের সংস্কৃতিও। হরেক রকম আতরের পসরা সাজিয়ে বিপাকে আবদুল। তার একটাই আক্ষেপ, ‘ডিও, পারফিউম, সেন্ট এবং বডি-স্প্রে কিনছেন সাধারণ মানুষজন। এই ইদেও জান্নাতুল ফিরদৌসের মতো নামী আতরও বিকোচ্ছে না।”

Advertisement

আতর বিক্রেতাদের দাবি, পারফিউম, বডি-স্প্রে অনেক ক্ষতিকারক। তবু এ যুগের উঠতি তরুণ-তরুণীরা পারফিউম, বডি স্প্রে ব্যবহারে ঝুঁকেছেন। ইদের মুখে অন্তত সেটাই উপলব্ধি করছেন মালদহের আতর বিক্রেতারা।

Advertisement

একটি বাক্সে আতরের পসরা সাজিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে মালদহ শহরে ব্যবসা করেন মানিকচকের চাঁদ মহাম্মদ। সোমবার তিনিও করুন স্বরে বলেন, “বডি স্প্রের কাছে হেরে যাচ্ছে আমাদের জান্নাতুল ফিরদৌস। বিক্রি-বাট্টা হচ্ছে না বললেই চলে। অথচ ইদের মরশুমে আমরা প্রচুর পরিমাণে আতর বিক্রি করতাম। এখন দেখছি জামানা বদলে গিয়েছে। কেউ সেভাবে আতর কিনছেন না। কিছু বয়স্ক মানুষ আমাদের কাছ থেকে আতর নিয়ে যাচ্ছেন।”

[ আরও পড়ুন: মনুয়াকাণ্ডের ছায়া বসিরহাটে, স্বামী খুনে ধৃত স্ত্রী ও তার প্রেমিক ]

রমজানের রোজার শেষে এলো খুশির ইদ। মালদহ জেলাতেও ইদ উৎসবের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। ইদের কেনাকাটাও প্রায় শেষ। বাজারে বাজারে এখন লোভনীয় লাচ্ছা, সিমাই। তেমনই আতরের মিষ্টি সুগন্ধ৷ খুস, গুলাব, জেসমিন, তাজমহল, গুলবাহার, জান্নাতুল ফিরদৌস। হরেক রকম আতর সহজলভ্য বছরের ঠিক এই সময়ই৷ বিশেষত মালদহ শহরের বিভিন্ন বাজারে এই সময় জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে পসরা সাজান বিক্রেতারা৷

কিন্তু সেই আতর কিংবা লাচ্ছা বিক্রেতাদের এখন বড়োই দুর্দিন৷ প্রতিকূল আবহাওয়া এবার বড় দাগা দিয়েছে লাচ্ছা বিক্রেতাদের। নেট দুনিয়ার যুগে ব্যবসায়ীদের হতাশ করেছে আতরও। এবছর মালদহ শহরের বাজারে বিভিন্ন ধরনের লাচ্ছার দাম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ২২০ টাকা৷ একই দামে একই লাচ্ছা পাওয়া যাচ্ছে গ্রামেও৷ ফলে গ্রামের মানুষজন এখন আর খুব একটা শহরে আসছেন না৷

ফি বছর ইদের মুখে মানিকচকের আতর বিক্রেতারা শহরে নিজেদের আতরের পসরা নিয়ে আসেন৷ এবারও সুগন্ধের সম্ভার নিয়ে তাঁরা এসেছেন৷ কিন্তু এবার তাঁদের ব্যবসাও বিশেষ জমেনি৷ কারণ একটাই, পারফিউমের কাছে হেরে যাচ্ছে তাজমহল, গুলবাহার, জান্নাতুল ফিরদাউসও! চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে।

[ আরও পড়ুন: সরছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা! বঙ্গ সিপিএমে রদবদলের সিদ্ধান্তে বাড়ছে জল্পনা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ