নিরুফা খাতুন: তাপপ্রবাহের মাঝেই বঙ্গবাসীর জন্য সুখবর দিল হাওয়া অফিস। শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে তাপপ্রবাহের সর্তকতা। আগামী রবি বা সোমবারেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা। এদিকে রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। অর্থাৎ ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মাত্র আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা।
জলপাইগুড়িতে মৌসুমী বায়ু বা বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন ৭ই জুন। এবছর প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলেও এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি উত্তরবঙ্গে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। আগামী কয়েকদিন খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা দার্জিলিং কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায়। এরপর রবিবারই সম্ভবত উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা, মনে করছে হাওয়া অফিস। শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। রবি ও সোমবার উত্তরবঙ্গের এবং সিকিমের বেশ কিছু এলাকায় ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা।
[আরও পড়ুন: তৃৃৃণমূল কাউন্সলেরর মেয়ের বিকৃত ছবি ভাইরাল করার অভিযোগ দলেরই নেতার বিরুদ্ধে! শোরগোল কুলটিতে]
এদিকে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে এই জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গের মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা থাকবে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকতে পারে। তবে শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশে। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। প্রসঙ্গত,শুক্রবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৯ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৬ থেকে ৯৯ শতাংশ।