সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সপ্তাহে এক বা দু’দিন করে রাজ্যজুড়ে পূর্ণ লকডাউন। এসব সত্ত্বেও যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না সংক্রমণ। বরং প্রায় প্রতিদিনই করোনাজয়ীদের থেকে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাই। গতকালের তুলনায় রবিবার আরও বাড়ল সংক্রমণ। ফলে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ২ লক্ষের গণ্ডি। স্বস্তি একটাই। ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হারও।
এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২১৫ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতায় আক্রান্ত ৫৪১ জন। তালিকায় এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সে জেলায় ৫২৭ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায় হুগলি (২০৯), পশ্চিম মেদিনীপুর (২২০), হাওড়া (১৭২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৮৪) ও নদিয়ায় (১৩৭) সংক্রমিতের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এর ফলেই রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২ লক্ষ ২ হাজার ৭০৮। যদিও এর মধ্যে বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস অনেকটাই কম। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ২৩ হাজার ৬২৪।
[আরও পড়ুন: রাজগঞ্জের ২ বোনের মেডিক্যাল রিপোর্টে নেই গণধর্ষণের উল্লেখ, ধামাচাপার অভিযোগ বিজেপির]
এদিনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়ে দেন, দেশে করোনা ভ্যাকসিন আসার কোনও দিনক্ষণ এখন ঠিক হয়নি। তবে আশা করা যায় ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে তা হাতে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ চলতি বছর যে করোনা আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই কাটাতে হবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট। শুধু সংক্রমণই নয়, এই মারণ ভাইরাস এখনও মানুষের প্রাণ কেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। ফলে বাংলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩,৯৪৫ জন। তবে এতকিছুর মধ্যেও স্বস্তি দিচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার। একদিনে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৫৪ জন। বাংলায় এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৩৯ জন। সুস্থতার হার বেড়ে ৮৬.৪০ শতাংশ।
লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের পাশাপাশি ট্রেসিং, ট্র্যাকিং ও টেস্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত করোনা রোগীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে দ্রুত আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। তাই রোজই অল্প অল্প করে বাড়ছে টেস্টিংয়ের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ৩১৮টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। রাজ্যে এখনও অবধি মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৮টি।