পলাশ পাত্র, তেহট্ট: স্বামীর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখা যাচ্ছিলেন ২৫ বছরের আঙ্গুর বিবি। আচমকাই পিছন থেকে আসা এক লরির ধাক্কায় তিনজনেই ছিটকে পড়েন বাইক থেকে। চালক ইয়াসিন শেখ একদিকে পড়লেও ৮ মাসের মেয়ে আশ্রিতা খাতুনকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন মা। ছিটকে পড়তেই মা ও মেয়েকে পিষে দেয় ঘাতক লরিটি। দুজনেই ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত ইয়াসিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি।
[পর্দাফাঁস কিডনি পাচারচক্রের, নৈহাটি থেকে গ্রেপ্তার মহিলা-সহ সাত]
সোমবার মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কালীগঞ্জ থানার ফুলবাগানে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মোটরবাইকে চেপে যাওয়ার পথে লরির ধাক্কাতেই মা ও আটমাসের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, আটমাসের শিশুকন্যাটিকে নিয়ে আজ ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন মা-বাবা। স্বামীর মোটরবাইকে আশ্রিনাকে চেপে ধরে বসেছিলেন আঙ্গুর বিবি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাইক বেশ দ্রুতগতিতেই এগোচ্ছিল। আচমকা বহরমপুরগগামী একটি লরি এসে মোটরবাইকের পিছনে ধাক্কা মারে। চালক ইয়াসিন শেখ একদিকে ছিটকে পড়েন। মা ও মেয়ে লরির তলায় পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বেলা বাড়তেই কালীগঞ্জ থানার ফুলবাগানে এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়ছে, মৃতার আঙ্গুর বিবির বয়স ২৫। তাঁর মেয়ে আশ্রিতা খাতুনের মাত্র ৮ মাস। তাঁদের বাড়ি কালীগঞ্জের শিয়ালখালা এলাকায়। ইয়াসিন শেখ মারাত্মক জখম অবস্থায় স্থানীয় মীরা হাসপাতালে ভরতি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শিয়ালখালা থেকে মোটরবাইকে চেপে পলাশীতে বাপের বাড়ি পৌঁছে মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা ছিল স্বামী-স্ত্রীর। আচমকা দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দু’জনেই মারা যাওয়ায় ঘটনাস্থলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, লরিটিকে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।