সৌরভ মাজি, বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারে কাদা লেপে দিয়েছিল কেউ বা কারা। তা প্রকাশ্যে আসতে ধুয়ে সাফ তো করা হলই। তবে তা সাধারণ জল দিয়ে নয়। একেবারে দুধ, গোলাপজল এবং গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে তা ধুয়ে ফেললেন তৃণমূল কর্মীরা। বর্ধমান শহরে তাঁদের এহেন কাণ্ডে বেশ তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কর্দমাক্ত করে দেওয়ার পিছনে বিজেপিকেই দায়ী করল তৃণমূল। বিজেপি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বর্ধমান শহরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে খাদ্যভবন, জেলা খাদ্য নিয়ামকের কার্যালয়। সেখানে খাদ্যসাথী-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও সুবিধা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। তার মধ্যে ৫টি হোর্ডিং-ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেইসব ছবিতে রাতের অন্ধকারে কাদা লেপে দেয় দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পুর নেতৃত্ব ছবি পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়। তার জন্য আনা হয় ১০ লিটার দুধ, গোলাপ ফুলের পাপড়ি। দুধে গোলাপের পাপড়ি মেশানো হয়। দুধ ঢেলে গোলাপ ফুল দিয়ে কাদা মোছেন পাপ্পু ও অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। ধুয়েমুছে সাফ করে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি।
[ আরও পড়ুন: মাইল ফলকে দূরত্বের হিসেবে গণ্ডগোল, দুর্গাপুরের ব্যস্ত রাস্তায় বিভ্রান্ত পথচারীরা]
আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি পাপ্পু বলেন, “সিপিএম থেকে যারা বিজেপিতে গিয়েছে, তারাই এই কাজ করেছে। আগে তারা দিনের বেলায় অশান্তির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। এখন আর দিনে পারবে না, বুঝে রাতের অন্ধকারে এইসব অপকর্ম করছে।”
গত লোকসভার নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় উত্তপ্ত হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে। এমনকী বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছিল। পাপ্পু এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিজেপি রাতের অন্ধকারে এমন করলে তাদের ছাড়া হবে না। এই সাফাই করা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের যুব নেতা শ্যামল রায় বলেন, “দুধ দিয়ে শুদ্ধকরণ করার মত বিষয় নয় এটা। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী, কারওরই ছবিতে এইভাবে কাদা ছিটিয়ে দেওয়া কাম্য নয়।”