Advertisement
Advertisement

Breaking News

মন্দির

প্রাচীন মন্দির সংস্কারে মিলল রহস্যময় পাথর, চাঞ্চল্য জগৎবল্লভপুরে

৪০০ বছরের প্রাচীন এক শীতলা মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজ চলছিল।

Mysterious ancient relic found while renovating Howrah Mandir
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 22, 2019 9:47 am
  • Updated:June 22, 2019 9:47 am

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: মাটির নিচে খুঁজে পাওয়া এক অজানা বস্তুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার মাজু বাজার এলাকায়। ওই এলাকায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এক শীতলা মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজ চলছিল। সেইসময় সংস্কার কাজে নিযুক্ত মিস্ত্রিরা মাটির নিচ থেকে একটি প্রকোষ্ঠ যুক্ত শিবলিঙ্গস্বরূপ প্রস্তরের হদিশ পান। ঘটনার কথা লোকমুখে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তরটি দেখার জন্য ওই এলাকায় ভিড় জমাতে থাকে বাসিন্দারা।

[আরও পড়ুন: এখনও শুনশান ভাটপাড়া, আজই পরিদর্শনে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল]

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অশীতিপর শক্তিপদ সিনহা জানান, তিনি এই মন্দির নিয়ে একসময় সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। বিভিন্ন নথি থেকে তিনি জানতে পেরেছিলেন, প্রথম পানিপথের যুদ্ধের সময় মাজু এলাকায় শীতলা মাতার এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রথমদিকে মন্দির বলতে ছিল একটি খড়ের চাল যুক্ত মাটির ঘর। পরে তা পাকা করা হয়। বর্তমানে এই মন্দিরে শীতলা মাতার মূর্তি ছাড়াও আরও ১৮ টি বিভিন্ন দেবদেবীর বিগ্রহ নিত্য পুজো করা হয়। সুভাষ ভট্টাচার্য নামে এক পুরোহিত এই মন্দিরের সেবাইত হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। শক্তিপদবাবু জানান, প্রায় ৭০-৮০ বছর ধরে মন্দিরটি একটু একটু করে ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে শুরু করে। তাই মন্দিরটি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই কারণে গত কয়েকদিন ধরে মন্দিরটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার মিস্ত্রিরা যখন নতুন মন্দিরের ভিত খনন করছিলেন, তখন হঠাৎই ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭-৮ ফুট নিচে তাঁরা একটি চৌকো কুলুঙ্গির মতো প্রকোষ্ঠ আবিষ্কার করেন। সেই প্রকোষ্ঠের একেবারে নিচের দিকে তাঁরা একটি প্রস্তর নির্মিত গোলাকার বস্তু দেখতে পান। বস্তুটি অনেকটা বৃহদাকার শিবলিঙ্গের মতো। এই খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় উপচে পড়ে। মিস্ত্রিরা সকলে কাজ ছেড়ে উপরে উঠে আসেন।

Advertisement

মন্দিরের পূজারি নিচে নেমে বস্তুটি পরীক্ষা করে জানান যে, সেটি একটি পাথরের মূর্তি জাতীয় কিছু হবে। যেহেতু সেটি দীর্ঘদিন মাটির মধ্যে রয়েছে তাই বস্তুটির পূর্ণাবয়ব প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই অদ্ভুত দর্শন বস্তুটিকে ঘিরে এলাকার মানুষের উৎসাহে খামতি নেই। অজানা বস্তুটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকমের কাহিনি ও কল্প কাহিনির উদ্ভাবনও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে।

[প্রয়োজনে নতুন মুখ এনে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, নদিয়ার পর্যালোচনা বৈঠকে কড়া মমতা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ