Advertisement
Advertisement

৭০০ জন বৃদ্ধার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বিজয়া সারলেন বিধায়ক

শাড়ি, চাদর ও নগদ টাকা উপহার৷

Nabadwip: MLA distribute sarees to over 700 old women
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 21, 2018 9:46 am
  • Updated:October 21, 2018 10:24 am

বিপ্লব চন্দ্র দত্ত,কৃষ্ণনগর: ওঁরা অসহায়৷ ওঁদের নিজের বলে কেউই নেই৷ গোটা বছরের মতো পুজোর দিনগুলিও নতুন কোনও বার্তা নিয়ে আসে না ওঁদের কাছে৷ বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই মানুষগুলিকে নিয়ে বিজয়া পালন করলেন নদিয়ার নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা৷ প্রতি বছরের মতো এবারও অসহায় ৭০০জন বৃদ্ধাকে নিয়ে একাদশীর দিনটি কাটালেন তিনি৷

[আকাশে সন্ধ্যা তারা ফুটলেই উমা পাড়ি দেন নাওভাঙা নদীতে]

নবদ্বীপ শহরের পোড়াঘাটের কাছে বড় ভজনাশ্রমে শনিবার ভিড় জমিয়েছিলেন বৃদ্ধারা। তাঁদের হাতে প্রত্যেকের হাতে থালা ভরতি মিষ্টি তুলে দেন শাসকদলের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা৷ দেওয়া হয় একটি শাড়ি, চাদর, গামছা ও নগদ টাকা। শুধু উপহার দেওয়াই নয়, ওই বৃদ্ধাদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন নবদ্বীপের বিধায়ক৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শচীন বসাক, বিডিও বরুণাশীস সরকার ও নবদ্বীপ থানার আইসি সুবীর পাল-সহ অনেকেই৷

Advertisement

[বিজয়ায় মিলন, ৬ মাস পর বাড়ি ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ]

বয়সের ভারে ন্যুব্জ মানুষগুলিকে নিয়ে বিধায়কের এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বৃদ্ধারা৷ বিজয়ায় প্রণাম পেয়ে খুশি হয়েছেন তাঁরা৷ নবদ্বীপের চর মাজদিয়ার বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব গীতা দেবনাথ বলেন, ‘‘সারা বছর আমরা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকি৷ কেননা সাতকূলে আমার কেউ নেই। জীবনধারণ করতে হয় ভজন আশ্রমে হরিনাম সংকীর্তণ করে৷ এখান থেকে যা পাই আর ভিক্ষা করে যা মেলে, সেই দিয়ে দিন চালাই৷ বিজয়ার প্রণামের পাশাপাশি শাড়ি, চাদর, মিস্টি আবার সঙ্গে টাকা পেয়ে আমার মন ভরে গেল৷’’ বছর আশির উমারানী ঘোষেরও বক্তব্য প্রায় একইরকম৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংসার থেকে তাঁকে ব্রাত্য করে দিয়েছেন তাঁর ছেলে৷ তাই কান্নাভেজা চোখে তিনি বলেন, ‘‘ছেলে আমার থেকেও যেন নেই৷ প্রতি বছর ভাবি এবার হয়তো ছেলে এসে পুজোর সময় আমাকে শাড়ি দেবে৷ সেই আশায় বসে থাকি৷ কিন্তু কোনও বছরই ছেলে আসে না৷’’ তবে নিজের সন্তানের মতোই বিধায়ককেও ভাবতে শুরু করেছেন এই বৃদ্ধা৷ প্রাণ ভরে বিধায়ককে আশীর্বাদও করেন তিনি৷ 

Advertisement

[উমার বিদায়বেলায় হাজার টাকায় বিক্রি হল চুনোপুঁটি]

অবহেলিত, অসহায় বৃদ্ধাদের চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে একটা দিন আনন্দ দিতে পারাই যেন বিধায়কের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ আর সেই চ্যালেঞ্জ জিতে খুশি হয়েছেন তিনি নিজেও৷ তিনি বলেন, ‘‘দুর্গা পুজোর সময় উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন সকলেই৷ অথচ সমাজে অবহেলিত অসহায় বৃদ্ধাদের কথা কেউ মনে রাখে না। সেই সব বৃদ্ধা মায়েদের জন্য সামান্য একটু মিষ্টি ও কাপড় তুলে দিয়ে তাঁদের একটু হাসি মুখ দেখে আমার মন ভরে যায়৷ আমি এইদিনটির জন্য অপেক্ষা করি৷ ওঁদের আশীর্বাদই আমাদের পাথেয়৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ