Advertisement
Advertisement

Breaking News

হুগলি

বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! হুগলিকে করোনা সংক্রমিত জেলা হিসেবে ঘোষণা নবান্নর

জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Nabanna declared Hooghly district as containment zone

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 21, 2020 7:33 pm
  • Updated:April 21, 2020 7:46 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: করোনার সংক্রমণ রোধে রাজ্য সরকারের নির্দেশে হুগলি জেলাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হল। এদিন হুগলি জেলাশাসক দ্বারা জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সরকরি নির্দেশ অনুযায়ী হুগলির সমস্ত পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড ও বেশ কিছু পঞ্চায়েত এলাকাকে করোনা সংক্রমিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোন হওয়ায় সরকারি নির্দেশিকা অনুয়ায়ী জেলার সমস্ত অফিস, দোকান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে।

শ্রীরামপুর পুরসভা, কোন্নগর পুরসভা, চাঁপদানি পুরসভা, উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভা, বৈদ্যবাটি পুরসভা, ভদ্রেশ্বর পুরসভা, চন্দননগর পুরসভা ও ডানকুনি পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া রঘুনাথপুর, ভগবতীপুর, চণ্ডীতলা, রসিদপুর, জাঙ্গিপাড়া-সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতকেও কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত অফিস, দোকান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। শুধু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আই টি সেক্টর, ব্যাংক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলিকে শর্তসাপেক্ষে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে সরকারি নির্দেশ যাতে কেউ লঙ্ঘন না করে তার জন্য প্রশাসন আরও কঠোর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: লকডাউনেও ICDS কেন্দ্রে রেশন বিলিতে বেনিয়মের অভিযোগ, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রাপকরা ]

প্রসঙ্গত হাওয়া সংলগ্ন জেলা হওয়ায় হুগলিতে কিছুদিন ধরেই জোর নজরদারি চালানো হচ্ছে। উত্তরপাড়া ও ডানকুনির সঙ্গে হাওড়ার সরাসরি সংযোগ থাকায় এখানে গাড়ি থামিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া জেলার অন্যান্য প্রান্তেও চলছে নজরদারি। বাইরে থেকে কেউ এলেই তাকে থাকতে হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে। এই বিষয়ে জেলার প্রতিটি পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। সপ্তাহ খানেক আগে বিদেশ থেকে আগত প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিস লাগানো হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে ওই বাড়িগুলিতে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি পুরসভার হেল্প লাইনে ফোন করলে তাঁদের জন্য চাল, ডাল, আলু, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সব কিছুই পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানায় পুরসভা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: কেউ যেন প্রাণ না হারায়, জীবন বাজি রেখে লড়ছেন উত্তরবঙ্গের করোনা যোদ্ধারা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ