Advertisement
Advertisement

দালালচক্র রুখতে স্বাস্থ্য কর্মীদের আলাদা পোশাক দক্ষিণ দিনাজপুরের গ্রামীণ হাসপাতালে

আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চালু হচ্ছে পোশাকবিধি।

New t-shirts for health employees at village hospital in Balurghat
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 14, 2019 9:52 pm
  • Updated:September 15, 2019 4:41 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: স্বাস্থ্য কর্মীদের সহজে চিনে নিতে এবার থেকে বিশেষ টি-শার্ট পরা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে দালালচক্র রোখার পাশাপাশি রোগীদের হয়রানি কমাতে এমনই অভিনব সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ টি-শার্ট কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সকলেই তা পাবেন।

[আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে মাদ্রাসার আড়ালে জেএমবির জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানাচ্ছিল ধৃত আসাদুল্লা]

বেসরকারি হাসপাতালে থেকে শুরু করে নার্সিং হোম – রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে সক্রিয় দালালচক্র। পিছিয়ে নেই জেলা ও মহকুমার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। এমনকী এর অভিশাপ থেকে মুক্ত নয় ব্লক ও গ্রামীন হাসপাতালগুলিও। স্বাস্থ্যকর্মীদের ঠিকমতো চিনতে না পারায় হয়রানির শিকার হতে হয় রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের। দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে নিজেদের সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেছেন বহু মানুষ।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সদর হাসপাতাল চত্বরে দিন কয়েক আগেই দালালদের জালে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। পাওয়ার হাউস এলাকার বৃদ্ধা ছবি গোস্বামী ৩১ আগস্ট এনিয়ে বালুরঘাট থানায় অভিযোগও করেন লিখিতভাবে। জেলাজুড়ে এই দালাল চক্রের সক্রিয়তাকে মাথায় রেখে তাই সচেতন হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য দেওয়া হয়েছে সাদা রঙের টি-শার্ট। যার পিছনে লেখা রয়েছে – ‘খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল’। আপাতত হাসপাতালের ২২ জন কর্মীকে এই পোশাক দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে সপ্তাহে একদিন, শনিবার এই পোশাক পরবেন হাসপাতালের কর্মীরা। পরিকল্পনা সফল হলে আগামীতে হাসপাতালের সব স্বাস্থ্যকর্মীকে এই পোশাক দেওয়া হবে। তখন প্রতিদিনই কাজের সময়ে নির্দিষ্ট পোশাকটি পরতে হবে। গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই অভিনব পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় কারাগার হওয়ার পথে কৃষ্ণনগর সংশোধনাগার, চলছে পরিকাঠামো উন্নতির কাজ]

খাসপুর গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর আত্মীয় বিকাশ হালদার বলেন, ‘হাসপাতাল কর্মীদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকায় তাঁদের চিনতে সুবিধা হচ্ছে। যে কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা বা বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে নিজেদের সমস্যার কথা সঠিক জায়গায় জানাতে পারছি। এতে হাসপাতালের দালালচক্রের খপ্পর থেকেও রেহাই মিলছে।’ অন্যদিকে, বালুরঘাট ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অর্পণ সরকার জানিয়েছেন, হাসপাতালে বাইরের লোক ঢুকে প্রতারণা করার বিষয়টি বারবার সামনে আসছে। সেই কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিচয়মূলক একটা পোশাক দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের অযথা হয়রানিতে ইতি টানা যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ