BREAKING NEWS

১৮ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শুক্রবার ২ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

জঙ্গিদের মোবাইল খুঁজে পেলেন গোয়েন্দারা, ফাঁস হতে পারে বিস্ফোরক তথ্য

Published by: Monishankar Choudhury |    Posted: January 31, 2019 9:04 am|    Updated: January 31, 2019 9:04 am

NIA recovers JMB terrorists' mobiles

সুব্রত যশ, আরামবাগ: ধৃত জঙ্গির ফেলে দেওয়া মোবাইল উদ্ধার করল এনআইএ। বুধবার বিকেলে দীর্ঘ চেষ্টার পর ডুবুরিরা পুকুর থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে। এনআইএ আধিকারিকদের দাবি, এর ফলে জঙ্গি কার্যকলাপ সংক্রান্ত নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। যা তদন্তে সাহায্য করবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই মোবাইলের মাধ্যমেই মডিউলের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত ধৃতরা।

[রাজ্যে নতুন জঙ্গি মডিউল কি কদরের হাত ধরেই?]

সোমবার রাতে আরামবাগ থানার ডোঙ্গল গ্রামের এক নবনির্মিত বাড়ি থেকে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। ধৃত দুই জঙ্গির নাম সাজ্জাদ আলি ও কদর কাজি। দীর্ঘ তিন মাস ধরে এখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিল তারা। সোমবার গভীর রাতে যখন এনআইএ এবং আরামবাগ থানার পুলিশ ওই নবনির্মিত বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। তারপর বাড়ির ভিতরে উঠতেই ওই দুই জঙ্গি জানালা দিয়ে লাফ মেরে পালানোর চেষ্টা করে। তখন এনআইএ-র আধিকারিকরা তাদের ধরে ফেলেন। আধিকারিকদের সামনেই তার মোবাইল ফোন পুকুরের জলে ছুড়ে ফেলে অভিযুক্ত। এরপর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক তার, বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য, ব্যাটারি ও অ্যাসিডের বোতল উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম নিয়ে এনআইএ-র আধিকারিকরা কলকাতার সদর দপ্তরে রওনা দেন।

মঙ্গলবার বিকেলে তদন্তকারীরা ফেলে দেওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করার জন্য ডোঙ্গলে আসে। কিন্তু সেদিন উদ্ধার হয়নি। পুকুরের চারদিকে পুলিশ পিকেট বসিয়ে দেওয়া হয়, যাতে পুকুরের জলে কেউ না নামতে পারে। বুধবার বিকেলে আবার এনআইএ-র আধিকারিকরা আসেন পুকুরে তল্লাশি চালানোর জন্য। সঙ্গে কলকাতা থেকে ডুবুরি নিয়ে আসেন। তিনটের সময় ডুবুরি নামানো হয় পুকুরে। পাঁচটা নাগাদ উদ্ধার হয় ছুড়ে ফেলে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি। যে ফোনটির সাহায্যে অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত ধৃত জঙ্গিরা। ওই ফোনটি থেকে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাবে এনআইএ। এই ফোনটি থেকে কোথায় ফোন করা হত, কাদের সঙ্গে বা যোগাযোগ ছিল সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাবেন এনআইএ আধিকারিকরা।

স্থানীয় প্রধান সঞ্জিত অধিকারী জানান, আমরা সবসময় প্রচার চালাই বাইরের কোন লোককে নিয়ে এলে তার পরিচয়পত্র দেখেই তবে কাজে নিয়োগ করুন। নির্মীয়মাণ ওই বাড়ির মালিক শেখ মুমিন বলেন, এইভাবে এরা যে এত কিছু মজুত করেছিল আমরা সেটা বুঝতে পারিনি। আমরা ভেবেছিলাম রড কাটা বা কাঠ কাটার সরঞ্জামের জন্য ইলেকট্রিক তার বাকি জিনিস ওরা রেখেছিল।

[বদলাচ্ছে ‘অর্ধেক আকাশ’, কনকাঞ্জলিতে নিয়ম ভাঙলেন নববধূ]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে