রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ (CAB)-এর বিরোধিতায় এবার পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার দিঘায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, “যদি জেলে পাঠায়, পাঠাক। কিন্তু বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।” প্রথমদিন থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল। সংসদেও এই বিলের বিরুদ্ধে ভোটও দেন তৃণমূল সাংসদরা। এবার এই বিতর্কিত বিলের বিরুদ্ধে সরাসরি রাস্তায় নামার ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, “উন্নয়নের বদলে দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।”
বুধবারই সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল। এই বিলকে সাম্প্রদায়িক ও সংবিধান পরিপন্থী বলেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিলের বিরোধিতার অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্ব ভারত। অশান্তিতে ইতিমধ্যে অসমে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে কলকাতার ফেরার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, “রবিবার প্রতিটা জেলায় তৃণমূল এনআরসি এবং CAB-এর বিরুদ্ধে পথে নামবে। সোমবার এবং মঙ্গলবার কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল বের হবে।” এদিন তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা পশ্চিমবাংলায় এনআরসি হতে দেব না। ভয় নেই, শান্তিতে আছেন তেমনই থাকুন।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ত্রিপুরা জ্বলছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন : ‘দেশের আত্মাকে বাঁচান’, ১৬ জন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ প্রশান্ত কিশোরের]
বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ধর্মের নামাবলি গায়ে চাপিয়ে সমস্ত কাজ করে পার পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। ওঁরা দেশ ভাগ করতে চাইছে। গায়ের জোর দেশ ভাঙতে চাইছে ওরা।” বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলন করে যে অধিকার পাওয়া গিয়েছে, তা বজায় থাকবে। দেশ রক্ষা করতে যদি আরেকটা স্বাধীনতা আন্দোলন করতে হয় আমি তাই করব।”
[আরও পড়ুন : সর্বকালের সেরা মূর্খামি, CAB নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ অসমের ভূমিপুত্র অভিনেতা আদিলের]
অন্যদিকে, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “নিজের এক্তিয়ারের বিরুদ্ধে কাজ করছেন উনি।আমাদের মাথাব্যথা করতেই ওঁনাকে পাঠানো হয়েছে।”