ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বহু জট কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে শান্তিনিকেতনে শুরু হচ্ছে পৌষমেলা। এবছর পরিবেশবান্ধব মেলার পাশাপাশি পশুদের সুরক্ষা নিয়েও প্রচার শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিশ্বভারতীর কর্মিমণ্ডলীর তরফে একটি মিছিল করে আবেদন করা হয় যে, কোনও প্রাণীকেই যেন অকারণ নির্যাতন না করা হয়।
খাবারের লোভে বোলপুর এবং আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর কুকুর ভিড় জমায় পৌষমেলার মাঠে। আর সেই কুকুর তাড়াতে খাবারের দোকানের মালিক বা মেলায় আসা পথচলতি মানুষজন তাদের মারধর করে। কখনও আবার তাদের গায়ে গরম বা ঠান্ডা জল, জ্বলন্ত কয়লা, গরম ভাতের মার ছুঁড়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এবার এই নির্যাতন বন্ধের আবেদন জানাল বিশ্বভারতী কর্মিমণ্ডলী।
[আরও পড়ুন: নারী সুরক্ষায় নজর, ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের]
সোমবার কুকুর নিয়ে কর্মিমণ্ডলীর সদস্য ছাড়াও বিশ্বভারতীর কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং আধিকারিকরা একটি পদযাত্রা করেন। পদযাত্রাটি মেলা প্রাঙ্গণে ঘোরেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁরা আবেদন করেন, কুকুর, ছাগল বা কোনও ছোট প্রাণীকে কাউকে নির্যাতন করতে দেখলে তার ছবি তুলে রাখুন এবং বিশ্বভারতীর ক্যাম্প অফিসে খবর দিন।
এই বিষয়ে কর্মিমণ্ডলীর যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, ”মেলায় থাকা ছোট প্রাণী, বিশেষ করে কুকুরদের মারধর করা হয়। আমরা মেলায় আসা মানুষদের সচেতন করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।” এবছর বিশ্বভারতীর আবেদন মেনে কেন্দ্রের পাঠানো বাহিনীর তত্বাবধানে হচ্ছে পৌষমেলা। ২৭ তারিখ পর্যন্ত মেলা চলবে। তারপরের দিনই যাতে মেলার মাঠ থেকে সমস্ত দোকানপাট তুলে দেওয়া হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে বিশ্বভারতীর আয়োজকদের তরফে। প্রয়োজনে বাহিনীকে ব্যবহার করেই দোকান তুলে ফেলা হবে বলে সূত্রের খবর। প্রতি বছরের মতো এবছরও পৌষমেলায় ভাল ভিড় জমবে বলে আশা আয়োজকদের। পাশাপাশি, দূষণ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে।