Advertisement
Advertisement

Breaking News

রেললাইনের ধারে কাঠবিড়ালী মেরে চলছে ভোজ, ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা

রিষড়ায় আস্তানা গেড়েছে যাযাবররা।

Nomads hunting squirrels in Rishra
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:February 19, 2019 4:27 pm
  • Updated:February 19, 2019 4:27 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বিহারের কিউল থেকে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রায় দেড়শো থেকে পৌনে দু’শো যাযাবর আড়াই মাস ধরে রিষড়াতে রেলের জায়গায় এসে আস্তানা গড়ে তুলেছে। প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ জন মহিলা রয়েছে দলে। ভিক্ষাবৃত্তি এদের পেশা। তবে খিদের জ্বালা মেটাতে এরা এলাকার পশুপাখি খাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে কাঠবিড়ালী এদের খাদ্য তালিকায় পছন্দের বিচারে সবার উপরে। রাতের অন্ধকারে এই যাযাবরের দল এলাকাবাসীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে কাঠবিড়ালি ধরে তাকে মারার পর ছাল ছাড়িয়ে কখনও রোস্ট তো কখনও টুকরো টুকরো করে পিঁয়াজ রসুন দিয়ে রান্না করে খাচ্ছে।

[ রোগীর সঙ্গে লিফলেটে নিজেদের ছবি, থ্যালাসেমিয়া রোধে অভিনব উদ্যোগ দম্পতির]

Advertisement

রিষড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সূর্যাস্তের পর যাযাবরদের হই হট্টগোলে অনেক সময়ই রেললাইনের ধারের বসতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন অনেকটাই বিঘ্নিত হচ্ছে। বাঁচার তাগিদে এরা শিশু থেকে বুড়ো সকলেই এই কাঠবিড়ালী, ইঁদুরের মাংস রান্না করে খাচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, প্রকাশ্যে চোখের সামনে অনেক সময় ছোট ছোট শিশুদের কাঠবিড়ালীর মাংস খেতে দেখে তাদের মনেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। এমনকী, এমন দৃশ্য দেখে ভয় পাচ্ছে এলাকার শিশুরাও। এই ঘটনা যদি দিনের পর দিন যদি চলতে থাকে তবে তার প্রভাব অনেকটাই সুদূরপ্রসারী হবে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। রাতের বেলা রিষড়া স্টেশনের অদূরেই রিষড়া মালগুদাম সংলগ্ন লাইনের ধারেই রেলের খোলা জায়গাতে চলে রান্নার কাজ। কিন্তু কাছে গিয়ে ক্যামেরা বের করতেই তড়িঘড়ি মরা কাঠবিড়ালীগুলি লুকিয়ে ফেলে যাযাবররা। ছবি তোলা যে একেবারেই পছন্দ নয়, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন তাঁরা।

Advertisement

কিন্তু কাঠবিড়ালী মেরে কেন খান যাযাবর সম্প্রদায়ের মানুষেরা? দলের এক সদস্য জানালেন, ‘ভিক্ষা করে খেতে হয়। সবসময় ভিক্ষা জোটেও না। তাই কাঠবিড়ালী, ইঁদুর যখন যা পায় তাই তারা মেরে রান্না করে খায়।’ খাওয়া জোটে না বলেই যে বিহারের কিউল থেকে এ রাজ্যে এসেছেন, তাও জানালেন যাযাবর দলের ওই সদস্য। এলাকাবাসীর অভিযোগ, হঠাৎ করে বাইরে থেকে গত আড়াই মাস ধরে এরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। এদের আসল পরিচয় কেউই জানে না। এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন যদি এরা সত্যি কিউলের বাসিন্দা হয় তবে সেই রাজ্যের সরকার কেন এদের খাদ্যের অভাব মেটাতে এদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না।

[ শেষবেলায় জাঁকিয়ে শীত ডুয়ার্সে, খুশি পর্যটকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ