রাজা দাস, বালুরঘাট: ওয়েবসাইটে গোলযোগ৷ অনলাইনে টিকিট বুকিং বন্ধের পাশাপাশি, যাত্রীদের টিকিট দেওয়া-সহ অন্যান্য সমস্যায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সংস্থার কর্মীরা। দিন পনেরো ধরে চলা এমন ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ বাড়ছে বালুরঘাট ডিপোয় পরিষেবা নিয়ে৷ তবে দুই একদিনের মধ্যে অনলাইন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে দাবি জানিয়েছেন বালুরঘাট ডিপো আধিকারিকরা৷
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বালুরঘাট ডিপো থেকে এই মুহূর্তে বাস চলাচল করে প্রায় ৩৩টি৷ যার মধ্যে বালুরঘাট-কলকাতা রয়েছে প্রতিদিন তিনটি বাস। দূরপাল্লার এই রুটে সকালে ২ এবং রাতে একটি বাস। এছাড়া প্রতিদিন সরাসরি বালুরঘাট শিলিগুড়ি চলাচল করা দুটি বাসের মধ্যে একটি সকালে ও একটি রাতে রয়েছে। এছাড়া কোচবিহার, মালদহ, রায়গঞ্জ-সহ ছোট বড় এবং মাঝারি রুটে গুরুত্বপূর্ণ বাসগুলি চলে প্রতিদিন। স্টপেজ কম ও স্বচ্ছ পরিষেবার কারণে এই সরকারি বাসের উপর ভরসা করেন যাত্রীরা। যাত্রী পরিষেবার উন্নতিকরণে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেছে। সেখান থেকে অনলাইনে অগ্রিম টিকিট বুকিং-সহ অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করা হয়৷
[পঞ্চায়েতে হিংসা নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের পথে বিজেপি, থানা ঘেরাওয়ের ডাক]
এছাড়া অনলাইনে ওয়েবিল তৈরির পর ছাপানো হয়। সেই টিকিট দিয়ে সরকারি এই বাসের কন্ডাক্টররা যাত্রীদের ভাড়া কাটেন। গত দুই মাস আগে বালুরঘাট ডিপো থেকেও চালু হয় অনলাইনের নানা পরিষেবা। কিন্তু বিগত পনেরো দিন ধরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে রয়েছে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে। ফলে অনলাইন বুকিং থেকে শুরু করে অন্যান্য উন্নত পরিষেবা দিতে পারছে না কর্মীরা। ফলে পুরনো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফিরে যেতে হয়েছে এখানকার কর্মী থেকে আধিকারিকদের। স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যা দেখা দিয়েছে পরিষেবা প্রদানে। এতেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বালুরঘাট ডিপোর অধীনে থাকা কর্মীদের মধ্যে৷
নাম জানাতে অনিচ্ছুক কর্মীদের কথায়, বাতিল হয়ে গিয়েছে ম্যানুয়াল পদ্ধতি৷ ফলে পুরনো পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে বুকিং বন্ধের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে টিকিট নিয়ে। রাস্তায় চলাচল করা বাস যাত্রীদের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আবার ম্যানুয়াল ওয়েবিলের টিকিটে। ফলে টিকিটে নম্বর দিতে হচ্ছে হিসেব মিলিয়ে রাখতে। এতে সময় নষ্টের পাশাপাশি ভুলভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতির জন্য আগের ছাপানো টিকিট বের করে দেওয়া হচ্ছে ডিপো থেকে। সেখানে ৫, ১০ এবং ১৫ টাকার টিকিট নেই। ফলে সব যাত্রীদের ভাড়া কাটতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে গাড়িতে। ফলে চেকিং স্টাফরা কন্ডাক্টরদের চুরি ধরতেও পারছেন না৷ তাদের দাবি, দ্রুত অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে কর্মীদের সমস্যার সমাধান করা হোক৷
[বাংলা ভাগ হলেও রবীন্দ্র-নজরুল অবিভক্তই, হাসিনার মন্তব্য ছুঁল দুই বাংলার হৃদয়]
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বালুরঘাট ডিপো সম্পাদক গোপাল সাহা বলেন, এই সমস্যা শুধু বালুরঘটে নয়, সমস্ত ডিপোতে হয়েছিল। অন্যান্য জায়গাতে অনলাইন সিস্টেম ঠিক হয়ে গেছে। বালুরঘাটে এখন এই সমস্যা চলছে। এনিয়ে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলেছেন। দুই একদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে৷