Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার বাজারে প্লাস্টিকের দুধ, ছড়াল আতঙ্ক

সাবধান!

Now 'plastic milk' sparks panic in Bengal market
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 5, 2017 3:28 am
  • Updated:September 29, 2019 4:23 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা: ডিম, চাল, বাঁধাকপির পর এবার প্লাস্টিকের দুধ। বালুরঘাট বড়বাজারের দুধপট্টি থেকে এক লিটার দুধ কিনে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী মানস দাস। গ্যাসে ধাতব পাত্রে রেখে ফোটাতেই দুধ পরিণত হয় তরল প্লাস্টিকে। হতবাক হয়ে যায় মানসবাবুর পরিবার। দিন চারেক আগের ওই ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে। দুধের নমুনা পরীক্ষায় নেমেছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।

[বনধ অগ্রাহ্য করেই মিরিকের রাস্তায় সাধারণ মানুষ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের বড়বাজার এলাকায় একটি দুধপট্টি রয়েছে। শহর তো বটেই আশপাশের গ্রাম্য এলাকা এবং তপন ও হিলি ব্লক থেকেও বহু দুধ বিক্রেতা এই বাজারে আসেন দুধ বিক্রি করতে। ৩০ আগস্ট ওই বাজার থেকে দুধ সংগ্রহ করেন মানসবাবু। ফোটানোর পর দুধ তরল প্লাস্টিকে পরিণত হয়। সোমবার জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক (মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর ) বিশ্বজিৎ মান্নার নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ একটি দল অভিযান চালায় দুধপট্টিতে। সেখানে দুধের ড্রাম ও বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে বোতলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিক্রেতাদের নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, সব কিছু লিখে নেওয়া হয়। দুধে ক্ষতিকারক কিংবা অন্য কোনও রাসায়নিক উপাদানের প্রমাণ মিললেই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।

Advertisement

[ইদগাহের জন্য জমি দান করলেন দুই হিন্দু ভাই]

এছাড়া এদিন এক ফলের দোকানে হানা দেয় খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ওই ফল ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পতিরাম থেকে আসা দুধ বিক্রেতা পুলক সরকার জানান, দুধে ভেজাল মেশানো হয়, এই ব্যাপারটি তিনিও লক্ষ্য করেছেন। সকালের দিকে যাঁরা দুধ বাজারে বিক্রি করতে আসেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এই কাজ করেন। কিন্তু তিনি বাইরের বলে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। জেলা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, “এই বাজার থেকে কেনা দুধ প্লাস্টিক বলে বাজারে প্রচার হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই দুধের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।” তিনি জানান, অনেক সময় দুধের মান ধরে রাখতে স্টার্চ, ডিটারজেন্ট, ইউরিয়ার মতো বিষ মেশানো হচ্ছে। আবার দুধের আসল ফ্যাট বের করে বনস্পতি বা কেমিক্যাল জাতীয় কোনও দ্রব্য মেশানো হয়। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে এখানে কী ধরনের জিনিস মেশানো হয়। যদি দেখা যায় এই দুধে মেশানো রাসায়নিক শারীরিক ক্ষতিকারক নয়, সেক্ষেত্রে শুধু জরিমানা করা হবে। আর দুধে ক্ষতিকারক কিছু থাকলে জরিমানা এবং শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দেখুন শিউরে ওঠা ভিডিও:

(এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে দেখেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ