Advertisement
Advertisement
single govt school teachers to get transfer options

বদলির সুযোগ দিতে হবে ‘সিঙ্গল টিচার’দেরও, স্কুলগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের

উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলির আবেদন জানানো যাবে।

Now single govt school teachers to get transfer options in West Bengal । Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 23, 2021 11:57 am
  • Updated:September 23, 2021 12:17 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: ‘সিঙ্গল টিচার’রা (Single Teacher) বদলির আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতি আর আটকাতে পারবে না। বুধবার এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। উৎসশ্রী প্রকল্পে ১ আগস্ট থেকে রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহু শিক্ষকের অভিযোগ, বদলিতে তাঁদের স্কুল এনওসি দিচ্ছে না। এনওসি না দেওয়া স্কুলগুলির বক্তব্য, নির্দিষ্ট বিষয়ে একজন শিক্ষককে (সিঙ্গল টিচার) ছেড়ে দিলে ওই বিষয়ে পড়াবে কে? স্কুলশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, বিষয়টি নির্দিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শককে জানালে ওই স্কুলে নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক পাঠানো হবে।

শিক্ষক বদলিতে অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এনওসি (NOC) না পেয়ে বছরের পর বছর বাড়ি থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এদিনের নির্দেশিকায় তা পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, “আবেদনের এক মাসের মধ্যে সব খতিয়ে দেখে ট্রান্সফার অর্ডার ইস্যু হবে। প্রধান শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ কাউকে জোর করে আটকে রাখতে পারবেন না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: কড়েয়ায় বহুতলে বিস্ফোরণ! ভাঙল বাড়ির একাংশ, জখম অন্তত ৪]

তবে শিক্ষামন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশের পরও তা কার্যকর হচ্ছিল না। এদিনের নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শককে (ডিআই) পাঠানো হয়েছে। ডিআইরা প্রধানশিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেবেন। উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বদলির আবেদন জানাচ্ছেন শিক্ষাকর্মীরাও।

Advertisement

মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে আবেদন করলে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও অন্যান্য কাগজ লাগবে। ৪০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকলে রিনিউ করা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করতে হবে। জটিল অসুখ বা কোনও শিক্ষিকার বিবাহবিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃত্যুও বদলির আবেদনে গ্রাহ্য হবে। একই স্কুলে পাঁচ বছর কর্মরত যে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা আবেদনের যোগ্য। পাঁচ বছরের মধ্যে ট্রান্সফার নিলে আবেদন করা যাবে না। সাত বছরের মধ্যে বদলির আদেশ প্রত্যাখ্যান করলেও আবেদন করা যাবে না।

কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা সাসপেন্ড থাকলে আবেদন করতে পারবেন না। বিভাগীয় তদন্ত বা বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্ট কেস চললেও আবেদন গ্রাহ্য হবে না। শিক্ষকদের একটি অংশের অভিযোগ, সমস্ত শর্ত পুরণ করার পরও বদলির আবেদন নাকচ করা হচ্ছে। স্কুলশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ থাকলে তা মেল করে জানানো যাবে।

[আরও পড়ুন: উভয়ের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হলে পকসো আইনে মামলা নয়, পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ