Advertisement
Advertisement

Breaking News

সারমেয়

এনআরএস হাসপাতালের কুকুরনিধনের ছায়া বীরভূমে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ২টি সারমেয়র

ইচ্ছাকৃত বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

some people allegedly tried to kill dog in Birbhum area.
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 4, 2019 5:22 pm
  • Updated:June 4, 2019 5:22 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এনআরএস হাসপাতালে কুকুরছানা পিটিয়ে মারার স্মৃতি উসকে দিল সিউড়ির পুলিশ আবাসন৷ মঙ্গলবার দুপুরে আবাসন চত্বর থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২ টি সারমেয়কে। কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই সারমেয় দুটি। তবে হত্যার উদ্দেশ্যে সারমেয় দুটিকে বিষমিশ্রিত খাবারে খাওয়ানো হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

[আরও পড়ুন: অভিযুক্ত ‘চেনম্যান’কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ, খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ]

সারমেয় নিধনকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের শুরুতেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও  হাসপাতাল চত্বর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৬ টি কুকুরছানার বস্তাবন্দি দেহ। বস্তা খুলতেই দেখা যায়, কোনও কুকুরছানার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে, কারও দু’পা মাথার কাছে কুঁকড়ে গিয়েছে বেধড়ক মারের ফলে। এই ঘটনা সামনে আসার পরই নিন্দায় সরব হন শহরবাসী। কুকুরছানাদের নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগ তুলে সরব হন পশুপ্রেমীরাও। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কলেজের দুই নার্সিং-এর ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement

ফের সেই ঘটনার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন আমজনতা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সিউড়ির পুলিশ আবাসনের সামনে দুটি সারমেয়কে অসুস্থ হয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরই তাঁরা খবর দেন এলাকার পশুপ্রেমী সংগঠনে। খবর পেয়ে সংগঠনের তরফে সারমেয় দুটিকে উদ্ধার করে পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সারমেয় দুটির। চিকিৎসক জানান, বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে সারমেয় দুটির।

Advertisement

 [আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে সরকারি জমির সাইন বোর্ড ভাঙার চেষ্টা কৃষকদের]

তবে কী থেকে এই বিষক্রিয়া, তা এখনও জানা যায়নি। পরিকল্পনামাফিক বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, না কি কোনওভাবে নিজেরাই কিছু খেয়ে ফেলার ফলে এই পরিণতি, তা বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুটি সারমেয় ছাড়া আরও দুটিকে অসুস্থ অবস্থায় এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখন আর খোঁজ মিলছে না তাঁদের।    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ