সুবীর দাস, কল্যাণী: কল্যাণী বিস্ফোরণ কাণ্ডে ফের প্রাণহানি। যমে মানুষে লড়াইয়ের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ গেল আরও এক মহিলার। এর আগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচজন।
গত শুক্রবার নদিয়ার কল্যাণী পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় বেআইনি বাজি কারখানায় ঘটে বিস্ফোরণ। সেই সময় কারখানায় কাজ চলছিল। বাজি কারখানায় আটকে পড়ে মৃত্যু হয় ৪ মহিলা শ্রমিকের। আহত হন আরও এক মহিলা শ্রমিক। আহত অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারান উজ্জ্বলা ভুঁইয়া নামে ওই মহিলা শ্রমিকের। বছর উনপঞ্চাশের ওই মহিলার মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ কারখানা মালিক খোকন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে। টানা প্রায় ৭ ঘণ্টা চোর-পুলিশ খেলার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বিস্ফোরণের পর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে মোবাইল টাওয়ার লোকেশনে নজর রাখে পুলিশ। প্রথমে দেখা যায় খোকন কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের আশেপাশে রয়েছে। পরে দেখা যায় নৈহাটির দিকে যাচ্ছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। তবে ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা খোকনের বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করে। সেই সূত্রে আরও তথ্য পান তদন্তকারীরা। সেই মতো হানা দিয়ে গ্রেপ্তার হয় খোকন।
এই ঘটনার পর থেকে থমথমে কল্যাণী। বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নের জট। আদৌ এই কারখানার বৈধ অনুমতি ছিল? যদি অনুমতি থাকে সেক্ষেত্রে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজি কারখানার অনুমতি কে দিয়েছিল? আর যদি বেআইনি হয় সেক্ষেত্রে কেন সকলের নজর এড়িয়ে গেল বাজি কারখানা? এই ঘটনার সঙ্গে কি কোনও প্রভাবশালীর যোগসাজশ রয়েছে? এমনই নানা প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.