Advertisement
Advertisement

Breaking News

onion

বন্ধ তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আমদানি, ফের দাম বাড়ার আশঙ্কা

মাথায় হাত গৃহস্থের।

Onions May Make You Weep More because Turkey curbed export onion recently
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 26, 2019 9:15 am
  • Updated:December 26, 2019 9:16 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে পিঁয়াজের দাম ডবল সেঞ্চুরি করার পর গত কয়েকদিন যাবৎ নূন‌্যতম ১২০ টাকা কেজিতে দাঁড়িয়েছিল। ইতিমধ্যে, অভ‌্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বিক্ষোভ ও আন্দোলনে পিঁয়াজ-আতঙ্কটা চাপা পড়েছিল। তবে এবার আবার সে ঝাঁজ দেখাবে। আপাতত, পিঁয়াজের দাম কমার কোনও আশা তো নেই-ই, বরং লাফিয়ে চড়তে পারে। কারণ, ভারতে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করছে তুরস্ক।

সূত্রের খবর, তুরস্কেও পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত বিদেশের বাজারে পিঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইস্তাম্বুল। ফলে ভারতের বাজারে পিঁয়াজের দাম ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। বস্তুত, চলতি আর্থিক বছরে সাত হাজার টনের কিছু বেশি পিঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করেছে ভারত। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি পিঁয়াজই এসেছে তুরস্ক থেকে। বাকি দেশগুলির মধ্যে রয়েছে মিশর ও চিন। নিজের দেশে পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকায় এত দিন পিঁয়াজ রপ্তানি করছিল তুরস্ক। কিন্তু, এ বার সেখানেও পিঁয়াজের দাম চড়তে শুরু করেছে। ফলে রপ্তানিতে কোপ।

Advertisement

গত তিন মাস ধরেই ভারতের বাজারে পিঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। সরকারের তরফে বলা হয়, জোগানের অভাবের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পিঁয়াজের দাম বেজায় বেড়ে গিয়েছে। এক সময় দাম বাড়তে বাড়তে তা দেড়শো টাকার উপরেও চলে গিয়েছিল। পিঁয়াজের মূল উৎপাদক মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে ভারী বৃষ্টির কারণে খারিফ পিঁয়াজের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ৩০-৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণেও দাম বেড়েছে। কর্নাটকে কোনও কোনও জায়গায় গত মাসের শেষদিকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি হয়ে গিয়েছিল। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে নভেম্বরে তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আমদানির কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি, তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আমদানি করার পরেই সেই দাম কিছুটা নেমেছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে দাঁতাল, নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটকদের ঘোরাফেরায় জারি নিষেধাজ্ঞা

গত মাসে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে, পিঁয়াজের জোগান বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং অন্যান্য দেশ থেকে ‘যথেষ্ট পরিমাণ’ পিঁয়াজ আমদানি করা হবে। সূত্রের খবর, সরকার মিশর, ইরান এবং আফগানিস্তান থেকে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পিঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করছে। ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিদেশ থেকে ভারতে পিঁয়াজ আসার কথা। এর মধ্যে তুরস্ক পিঁয়াজ রপ্তানিতে বেঁকে বসলে, বাজারে পিঁয়াজের যোগানের অভাব সবটা মেটানো যাবে না। তাছাড়া, এই জরুরিকালীন আমদানি প্রক্রিয়াটি দামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। রপ্তানি হওয়া পিঁয়াজ দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখার কৌশল বিপর্যস্ত হলে কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে তা অবশ‌্যই একটা গভীর সংকট তৈরি করবে। কারণ, মার্চের আগে নাসিক-সহ দেশের যেসব অঞ্চলে পিঁয়াজ উৎপাদন হয় সেখানকার পিঁয়াজ মিলবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ