Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৌলভীবাজারের বড়হাটে জঙ্গি ডেরায় ঢুকে অপারেশন SWAT-এর

অব্যাহত 'অপারেশন ম্যাক্সিমাস'।

Operation Maximus continues as SWAT team enters into terrorist den in Borhat
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 1, 2017 6:33 am
  • Updated:December 23, 2019 3:47 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে একের পর এক জঙ্গি ডেরায় অভিযান অব্যাহত। গুলশন হামলার পর থেকেই জঙ্গি দমনে নড়েচড়ে বসেছে সে দেশের সরকার। গত এক সপ্তাহর মধ্যে সিলেট, কুমিল্লা মৌলভীবাজারে একের পর সন্ত্রাসদমন অভিযানে কোমর বেঁধে নেমেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বাংলেদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা মৌলভীবাজারের বড়হাটে জঙ্গি ডেরায় ঢুকে পুলিশের স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিস (সোয়াট) টিম গুলিযুদ্ধ শুরু করেছে। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’।

[পোল্যান্ডে আক্রান্ত ভারতীয় ছাত্র, রিপোর্ট তলব সুষমার]

শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সোয়াট টিম জঙ্গি ডেরায় ঢুকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আলো কম থাকার কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। এ অভিযানে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত এবং গোলাবারুদ ও অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হচ্ছে। অভিযান শুরুর আগে মৌলভীবাজার শহরে সব ধরনের ভারী ও হালকা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের প্রতিটি পয়েন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানার আশপাশে ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে মৌলভীবাজার পুরসভার বড়হাটের একটি দোতলা বাড়ি এবং সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুরের একটি বাড়িতে জঙ্গি ডেরার সন্ধান পায় বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় সোয়াটের ‘অপরাশেন হিটব্যাক’ শেষ হয়। এতে দুই মহিলা ও চার শিশু-সহ সাতজন নিহত হয়।

Advertisement

[পাকিস্তানে ফিদায়েঁ হামলা, মৃত অন্তত ২২]

অন্যদিকে, বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত ওই দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মহম্মদ শফিউল হকের সঙ্গে শনিবার সকালে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষা‍ৎকালে তারা পারস্পরিক সৌজন্য বিনিময় ছাড়াও দুই দেশের সেনাবাহিনীর বিদ্যমান প্রশিক্ষণ ও পেশাগত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের সেনা হেডকোর্য়াটারের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সেনাপ্রধান। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল ভারতীয় সেনাপ্রধানকে গার্ড অব অর্নার দেয়। এরপর বিপিন রাওয়াত হোড কোয়ার্টারে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। শুক্রবার সকালে বিপিন রাওয়াত-সহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে পৌঁছন। বঙ্গবন্ধু বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ